ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন
বিয়ের প্রলোভনে আওয়ামী লীগ নেতার শারীরিক সম্পর্ক
অনলাইন ডেস্ক |
শনিবার, ২৬ জুন ২০২১ | পড়া হয়েছে
161 বার
জামালপুর প্রতিনিধি
বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন যাবত শারীরিক সম্পর্ক করেও অস্বীকার করায় জামালপুরের শাহবাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী নারী মুন্নি বেগম। শুক্রবার দুপুরে তার নিজবাড়ীতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
শুক্রবার (২৫-৬-২০২১)সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, ২০১৮ সালে আমার স্বামী মারা যায়। আমার পরিবারে পারিবারিক সমস্যার কারনে শালিসী করে দেওয়ার জন্য শাহবাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি আলমগীর হোসেন আলমের নিকট যায়। তিনি বিচার শালিসী করে দেওয়ার জন্য রাজি হয়। কিন্তু সে বিচার শালিসী করতে প্রায় ১ বছর সময় অতিবাহিত করে। বিচার শালিসী করে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় তিনি আমাকে কুপ্রস্তাব দিতো। পরে আমি রাজি না হওয়ায় সে আমাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস প্রদান করে। এক পর্যায়ে ২০১৯ সালে মাঝামাঝি সময়ে তার সাথে আমার সম্পর্ক গড়ে উঠে। আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় আমাকে শারিরীক সম্পর্ক করার জন্য নিয়ে যায় এবং শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে। ওই সময় আমি বিয়ের কথা বললে আমাকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পর্যন্ত সময় দিতে বলে। আমি তাতে রাজি না হলে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে সে আমাকে ধনবাড়ী একটা অপরিচিত জায়গায় নিয়ে ইসলামী নিয়ম মেনে (ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক) কলেমা পড়ে বিয়ে করে। কিন্তু কাবিন করার বিষয়টি কাছ থেকে নির্বাচন পর্যন্ত সময় নেয়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমি আবার কাবিনের চাপ প্রয়োগ করলে তিনি সামনের নির্বাচনের কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরে তোন উপায় না পেয়ে আমি তার কথায় রাজি হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেন আলম আমার সাথে ঠিকঠাক মত কথা বলে না। আমার ফোন দিলে সে কেটে দেয়। পরে বিষয়টি আমি বুঝতে পেরে তাকে কাবিনের কথা আবারও বললে তিনি তা করতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান আকন্দ বাবুর কাছে বিষয়টি জানালে তিনি বিস্তারিত শুনে ২৬ জুন মিমাংসা করে দিবে বলে জানায়। এ বিষয় নিয়ে ২৪ জুন সন্ধ্যায় আমাকে ও আমার পরিবারকে হঠাৎ করে জামালপুর পৌরসভা কার্যালয়ে ডেকে পাঠান মেয়ের সাব। সেখানে আমরা গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা পৌর সভার সদস্য ও আলমগীর হোসেন আলমসহ অনেক কেই দেখতে পায়। পরে আমাদের কোন কথা শুনে আমাকে আড়াই লাখ টাকা নিয়ে মিমাংসা হতে বলেন এবং আলমগীরের লোকজন বিভিন্নভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি-ধামকি দেয়। একই সাথে আমাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই নারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-দৃষ্টি কামনা করে শাহবাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আলমগীর হোসেন আলমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।