টি এম এ হাসান , সিরাজগঞ্জ | রবিবার, ২৯ আগস্ট ২০২১ | প্রিন্ট
: কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৩সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা একদিনের ব্যাবধানে বেড়েছে আরও ৮সেন্টিমিটার। এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও চলনবিলের পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলের মানুষ ও গো-খামারিরা। এদিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য জেলা শহর ও ৫টি উপজেলায় মজুদ রাখা হয়েছে ১৭৬ মেট্রিকটন চাল ও সাড়ে সাত লক্ষ নগদ টাকা। পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৩সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার বিষয়টি রবিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন। অন্যদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানি বৃদ্ধি ও ভাঙ্গণ অব্যাহত থাকায় অসহায় হয়ে পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষ, ভীতিও কাজ করছে নদী তীরবর্তী এলাকা গুলোতে। অন্যদিকে পানি বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন জেলার গো-খামারিরাও। রবিবার (২৯ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৮সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৩সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ১৪ আগস্ট থেকে শুরু করে আজ রবিবার (২৯ আগস্ট) পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নদী তীরবর্তী আরও কিছু নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এ সকল এলাকার বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্যা দুর্গতরা। বন্যা কবলিত এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে রোপা আমন ক্ষেত, বীজতলা, আখ, পাট, তিল ও সবজিবাগানসহ বিভিন্ন ফসল। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন হলোই যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যমুনা নদীর পানি গত ২৪ঘন্টায় ৮সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্যা পূর্ভাবাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে যমুনা নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। তবে পানি বিপদসীমার ৩৩সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত বন্যার তেমন কোনও ঝুঁকির পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেও জানান এই কর্মকর্তা। সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম রবিবার (২৯ আগস্ট) সকালে জানান, যমুনা নদীতে পানি বেড়ে বিপদসীমার ৩৩সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার বিষয়টি আমাদের জানা আছে। আমরা নিয়মিত পানির খোঁজ খবর রাখছি। তিনি আরও বলেন, জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর এই ৫টি উপজেলায় ১’শ মেট্রিকটন চাল ও ১লক্ষ করে নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তারা সেটা তাদের চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো সময় বিতরণ করবেন। এছাড়াও জেলায় ৭৬মেট্রিকটন চাল ও আড়াই লক্ষ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে। কোনও এলাকায় ত্রাণের প্রয়োজন আছে কি না তা নিয়মিত খোঁজ নেয়া হচ্ছে। ### টি এম এ হাসান সিরাজগঞ্জ
Posted ২:১২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৯ আগস্ট ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।