রাজশাহীর বাঘায় মিছিল থেকে আটক জামায়াতের-৭ নেতা/ কর্মীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রয়ারী) বেলা ১১টার দিকে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিন্নাত আলী ও বাঘা পৌর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক সাইফুল ইসলামসহ-৪২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত-৭০/৭৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাঘা উপজেলা জামায়াতের নেতৃত্বে সরকার কর্তৃক মদের লাইসেন্স বাতিলের প্রতিবাদে বুধবার বিকাল ৪টার দিকে বাঘা জিরো পয়েন্ট থেকে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে বাঘা মাজার গেটের সামনেআসলে খবর পেয়ে বাঘা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মিছিলে বাদা দিলে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে মিছিল কাটীদের। এসময় তারা পুলিশকে লক্ষ করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করে। এতে বাঘা থানার ৫ জন পুলিশ আহত হন। আহতরা হলেন-এএসআই আবদুর রহিম, মন্টু মিয়া, কনস্টেবল আহাদ আলী, হারুনুর রশিদ, প্রদীপ কুমার। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ সময় মিছিল থেকে জামায়াত শিবিরের-৭ নেতা/কর্মীকে আটক করে পুলিশ। আটককৃরা হলেন-উপজেলার হাবাসপু গ্রামের নাজিম উদ্দীনের ছেলে হামিদুল ইসলাম (২০) খায়ের হাট গ্রামের মৃত মজিবুরের ছেলে হাফিজুর রহমান (৪০) ঢাকা চন্দ্র গাথী গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে সেকেন্দার আলী (৩০) জোতরা ঘোব গ্রামের রফিজ উদ্দিনের ছেলে খোশবর রহমান (৩৮) জোতনসী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল মান্নাফ (৩০) চন্ডপুর গ্রামের মাজদার রহমানের ছেলে মাসির উদ্দিন (৪৮) আড়পাড়া গ্রামের জালাল উদ্দীনের চেলে রাজিব (৩০)। বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন,জামায়াত শিবির নাশকতা করতে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে গ্রেতারকৃত ৭ জনকে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।