
গাজীপুর প্রতিনিধি | সোমবার, ১২ মে ২০২৫ | প্রিন্ট
বিশ্ব মেধাসত্ত্ব দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ মে সোমবার”মেধাস্বত্ব অধিকার” বিষয়ক এক সেমিনার গাজীপুর ক্যাম্পাসে সম্মেলন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের লেকচার গ্যালারীতে অনুষ্ঠিত হয়। বাউবির ইনস্টিটিশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) আয়োজিত সেমিনারের উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাঃ শামীম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাঃ শামীম বলেন, “আজকের জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতিতে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির অধিকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদগুলোর মধ্যে একটি। গবেষক, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল কাজগুলোকে সংরক্ষণ ও এর সুফল পাওয়ার জন্য “মেধাস্বত্ব অধিকার” তথ্য- পেটেন্ট, কপিরাইট, ট্রেডমার্ক এবং ট্রেড সিক্রেটস-সম্পর্কে জানা ও বোঝা খুবই প্রয়োজন।
উদ্ভাবন হচ্ছে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণশক্তি, কিন্তু একটি শক্তিশালী মেধাস্বত্ব ব্যবস্থাপনা কৌশল ছাড়া যুগান্তকারী আবিষ্কারগুলো অব্যবহৃত থেকে যেতে পারে অথবা অপব্যবহারও হতে পারে। একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ এবং উদ্ভাবনী অর্থনীতির বিকাশে মেধাস্বত্ব অধিকারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শক্তিশালী মেধাস্বত্ব সুরক্ষা ব্যবস্থা একটি দেশকে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় একটি বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে জ্ঞান পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত নতুন জ্ঞান সৃষ্টি এবং উদ্ভাবনী ধারণার বিকাশে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। এই প্রেক্ষাপটে, মেধাস্বত্ব অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এর সুরক্ষা সম্পর্কে জ্ঞানদান অত্যন্ত জরুরি”। তিনি আরও বলেন, “বুদ্ধিভিত্তিক ব্যবস্থাপনা কেবল আইনি সুরক্ষার বিষয় নয়; বরং সচেতনতা এবং সক্রিয় ব্যবস্থাপনার সংস্কৃতি তৈরির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে পারে এমন অভ্যন্তরীণ নীতি তৈরি করতে হবে। কার্যকর মেধাসত্ত্ব ব্যবস্থাপনা বাণিজ্যিকীকরণের সম্ভাবন সম্ভাবনার দ্বারও উন্মুক্ত করে।
কৌশলগত মেধাসত্ত্ব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকাকেও শক্তিশালী করা এখন সময়ের দাবি মাত্র”। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন, বাউবির আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, “উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতা একটি দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি। আর এই উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতাকে সুরক্ষা দেওয়ার আইনি হাতিয়ার হলো মেধাস্বত্ব অধিকার। আমরা যারা ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হতে চাই বা নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে চাই, তাদের জন্য এই মেধাস্বত্ব অধিকার সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অপরিহার্য। পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ বেলাল হোসেন সেমিনারে রিসোর্স পারসন হিসেবে “শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির কৌশলগত ব্যবস্থাপনা: উদ্ভাবন, সুরক্ষা ও বাণিজ্যিকীকরণে সফল দিকনির্দেশনা” সংক্রান্ত বিষয়ের উপর বাস্তবভিত্তিক বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আজকের বিশ্বে, যেখানে জ্ঞান এবং উদ্ভাবন অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি, সেখানে মেধাস্বত্বের ধারণা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
সাহিত্য, শিল্প, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানুষের মেধা ও সৃজনশীলতার ফসল সুরক্ষিত হওয়া প্রয়োজন”। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ জহির রায়হান। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি স্কুলের ডিনসহ সকল শিক্ষক বিশ্ব মেধাসত্ত্ব দিবসের এ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
Posted ৬:৩৯ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১২ মে ২০২৫
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।