বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

>>

বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভেঙে পড়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্প

আল মাসুদ লিটন   |   শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১   |   প্রিন্ট

বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভেঙে পড়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্প

বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভেঙে পড়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্প

দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না— জাতির জনকের এই স্বপ্ন পূরণ করতেই বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ভূমিহীন, গৃহহীনদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। এরই মধ্যে দেশের প্রায় সোয়া এক লাখ পরিবারের মধ্যে সেই ঘর হস্তান্তরও করা হয়েছে। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ইট-সুরকি দিয়ে নির্মাণ করা এসব ঘরের বেশকিছু ভেঙে পড়েছে। কোনো কোনোটিতে দেখা দিয়েছে বিশাল ফাঁটল। আবার কিছু ঘর মাটিতে দেবে গেছে।

জামালপুর জেলাসহ- দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এসব ঘর ভেঙে পড়ার খবর আসতে। এসব ঘর নির্মাণের তদারকিতে থাকা মাঠ প্রশাসনের গাফিলতিতেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোর এই পরিণতি— এমনটিই বলা হচ্ছে। সম্প্রতি এই প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষে দেশের পৌনে ৯ লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকার সরাসরি প্রকল্প না নিয়ে তিনটি কর্মসূচির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এ উদ্যোগ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের ‘দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি প্রকল্প’, ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প’ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প-২’— এই তিন প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ করা হচ্ছিল ঘরগুলো। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিটি পরিবারের জন্য সেমি-পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি বাড়িতে দুইটি শোবার ঘর, একটি রান্নাঘর, একটি ইউটিলিটি রুম, একটি বারান্দা ও একটি টয়লেট রয়েছে। ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে ও রঙিন টিনের ছাউনিওয়ালা ঘরগুলোর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে অগ্রাধিকারমূলক এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে দায়িত্ব দেওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও)। তাদের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন উপজেলা প্রকৌশলী, এসি ল্যান্ড, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিরা। তাদের পর্যবেক্ষণে প্রতিটি ঘর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বর্ষা আসতেই অনেক ঘর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছে। কারও বিরুদ্ধে তালিকা অনুযায়ী ঘর না দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও সামাজিক গণমাধ্যমে সেসব ঘরের ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে। সরকারের কর্মকর্তাদের নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ছে।এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে দেশের ৪০ উপজেলায় তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৩০টি উপজেলায় অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা শুরু হবে।

Facebook Comments Box

Posted ১:১৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১০ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com

nilüfer escort coin master free spins