সোমবার ১৯ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

>>

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এক মহাকাব্যিক চরিত্র

  |   শনিবার, ১৪ আগস্ট ২০২১   |   প্রিন্ট

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এক মহাকাব্যিক চরিত্র

নূরুদ্দীন দরজী:

পৃথিবীতে অনেক বিস্ময়কর মহামানবিক গুনান্মিত মানুষ রয়েছেন যাদের জন্য সর্বকালে মানুষ মাথা উঁচু করে। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমনি একজন সেরা মানুষ।। ইতিহাসের তিনি এক অনন্য সাধারণ ব্যক্তিত্ব।তিনি বাঙালি জাতির পিতা ও বিশ্বমানবের মুক্তির অগ্ৰদূত। মানুষের হৃদয় আকাশের তিনি এক ধ্রুব তারা। বিশ্ববাসীর জন্য তাঁর অবদান অসামান্য। তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন উপাখ্যান বাঙালি মাত্রের‌ই মানসপটে আঁকা রয়েছে। বাংলাদেশের এবং বাঙালির তিনি মহানায়ক, জাতির গর্বিত পিতা। বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলাদেশ একটি অভিন্ন সত্তা। বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবন কাহিনী মানুষের কৌতহল বৃদ্ধি করে। বিগত হাজার বছরে তাঁর মত হয়ে কেউ আর আসেনি প্রিয় এ বাংলাদেশে। তাঁর মত অন্য কেউ এত ভালোবাসতে পারেনি বাংলাদেশ ও বাংলার মানুষকে। বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন ছিল এ দেশ হবে সোনার বাংলা। তাঁর নিকট পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় ছিল বাংলাদেশের মাটি ও মানুষ।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় জীবন্ত প্রতীক হলেও মীর জাফরের বংশধররা তাকে বাঁচতে দেয়নি। তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তৈরি করেছে প্রবল প্রতিবন্ধকতা । তাঁর জীবনভর সংগ্ৰামে অর্জিত বাংলাদেশের‌ই কতিপয় বেঈমান, বিশ্ব বেঈমানদের অনুচর নির্মমভাবে তাঁকে হত্যা করেছে। তাঁর ভালোবাসাকে ধুলোয় লুন্ঠিত ও বিশ্বাসকে অমর্যাদা করে তাঁকে হত্যার মাধ্যমে বাংলার বুকে সৃষ্টি করেছে এক করুন ট্রাজেডী। যে ট্টাজেডীর শোকগাঁথা বাঙালির হৃদয়ে চির বহমান। বেঈমানের দল বঙ্গবন্ধুকে ব্যর্থ করতে ঘুরেছে দুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। কিন্তু কিছুই করতে পারেনি, ব্যর্থ হয়েছে তারাই সম্পূর্ণ রুপে। বাংলাদেশের আপামর জনগণ এবং বিশ্ববাসীর একান্ত ভালোবাসায় সিক্ত বঙ্গবন্ধু আজ জীবন্ত হয়ে বেচেঁ রয়েছেন সবার মাঝে ,বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল ধরে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ আজ বিশ্ববাসীর গর্বে পরিনত হয়েছে, হয়েছে রোল মডেল। ষড়যন্ত্রকারী শয়তানের পেতাত্মারা নিক্ষিপ্ত হয়েছে আস্তাকুঁড়ের রোশানলে। জ্বলে পুড়ে মরছে অনির্বাণ অন্তর জ্বালায়।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তাঁর নশ্বর দেহটি বাঙালির কাছ থেকে পৃথক করা হয়েছে মাত্র। দেহটি মাটিতে নিঃশেষ হয়ে গেছে -কিন্তু তাঁর চেতনা,আদর্শ দীপ্তমান।তাঁর অর্জিত ফসল ভোগ আর উপভোগ থেকে তারা বঞ্চিত করতে পারেনি দেশের মানুষকে। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর জন্য চির জাগ্ৰত। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু হয়নি,তিনি হয়েছেন মৃতুঞ্জয়ী। তিনি আর ও বেশি জীবিত। এ বাংলার নদীর কলতানে, সাগরের উচ্ছাসে, পাখিদের সুমিষ্ট গানে, চাঁদের কিরণে,বাতাসের শনশনে,আকাশ নীলিমায়,শিশির ভেজা ভোরে,মসজিদ,মন্দির,
গীর্জা,আর প্যাগোডার সুমধুর তানে বঙ্গবন্ধু উদীয়মান। বাঙালির হাসি-কান্নায়,আনন্দ-বেদনায়, বিরহ-মিলনে ও সকল ভালোবাসায় তিনি মূর্তমান। তিনি বাংলার মধ্য গগণে রয়েছেন সূর্যের ন্যায় উদিয়মান।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে পিতার আদর্শের পথে হেঁটে তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে সোনার বাংলা আজ উন্নয়নে চরম শিখরে। পিতার স্বপ্নসাধ পূরণে তাঁর‌ই কন্যা বিশ্ব সভায় বাংলাদেশকে পরিনত করেছেন স্বমহিমায় ভাস্বর একটি উন্নত দেশের কাতারে। শেখ হাসিনা অবসান করার শপথ নিয়েছেন সকল অভাব-অনটন, দুঃখ-বঞ্চনা ও নির্যাতন যন্ত্রনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা বিশ্ব দরবারে আজ যুগান্তকরী উন্নয়ন যাদুকর। আন্তজার্তিক কূটনীতিতে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে বিস্ময়কর সাফল্য। বিশ্ব তাজ্জব হয়ে তাকিয়ে রয় বাংলাদেশ পানে।
বাঙালি জাতীর আধুনিক স্বপ্ন রুপকার, বাংলার চির জাগ্ৰত কন্ঠস্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু বিহনে বাংলাদেশ অস্থিত্ব বিহিন। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছন। জাতীয়তাবাদের জন্ম দিয়েছেন। বাঙালি জাতিকে তিনি যুদ্ধ করতে শিখিয়েছেন। তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, বাগ্নিতা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ত্বের গুণাবলী ও সাহস বাংলাদেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে নিজেদের স্বাধীতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিল। আজ বাঙালি স্বাধীন জাতি, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। বাংলাদেশের মাধচিত্রে স্বগৌরবে বিরাজমান তিনি। শুধুই তাঁর কারণে বাংলাদেশ আজ স্বার্থক রাষ্ট্র। একটি আত্ম মর্যাদাশীল গৌরবময় রাষ্ট্র।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, বঙ্গবন্ধুর বিরোধীতাকারী একাত্তরের পরাজিত নরাধমরা কিছু কিছু এখনো বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লুকিয়ে রয়েছে যারা সুযোগ বুঝে ছোবল মারতে চেষ্টা করে। । আবার তারা মাথা উচিয়ে দেখাতে চেষ্টা করে যাদের কুৎসিত মুখগুলো । এদের সম্পূন নির্মূল এখনো শেষ হয়নি। এদের নির্মুলে দেশপ্রেমিক সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে। বঙ্গবন্ধুকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিনত করতে হবে। এ পথে সকলে এগিয়ে যাবো এই হোক ১৫ই আগষ্টের জাতীয় শোক দিবসে প্রত্যয়, আমাদের প্রতিশ্রুতি আর অঙ্গীকার। লেখক: প্রবন্ধকার, কলামিস্ট ও সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার (টিইও)

Facebook Comments Box

Posted ২:৪১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৪ আগস্ট ২০২১

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রূপা
(1623 বার পঠিত)
ছোটগল্প (দেনা)
(1111 বার পঠিত)
দূর দেশ
(1021 বার পঠিত)
কচু শাক চুরি
(925 বার পঠিত)
কৃষ্ণ কলি
(909 বার পঠিত)

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১১ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬, ০২ ৪১০৫০৫৯৮

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com

nilüfer escort coin master free spins