মোঃ নিজাম উদ্দিন নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট
প্রশাসনের তদারকির অভাবে প্রতিবছর নির্মিতি হচ্ছে একের পর এক নতুন নতুন ইটের ভাটা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সহ উপজেলার ইটভাটাগুলোতে দেখা গেছে, প্রতিটি ইটভাটাই ফসলি জমির মাঝখানে স্থাপন করা। প্রতিটি ভাটার ১ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে জনবসতি রয়েছে। এ ছাড়া অধিকাংশ ইটভাটার ৫০০ মিটারের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। নবীনগরে মানিকনগর গ্রামে জনবসতি পূর্ণ এলাকা সংলগ্ন কৃষিজমি নষ্ট করে নীতিমালা বহির্ভূতভাবে নতুন আরো একটি ইটভাটা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে কৃষক ও কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতিসাধন হবে বলে স্থানীয় কৃষকরা ওই ইটভাটা নির্মাণকাজ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে কৃষক আওয়াল মিঞা সহ আরও ২০ কৃষকের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগপত্রে এ ইটভাটা নির্মাণকাজ বন্ধের দাবি জানানো হয়। বুধবার এলাকায় সরেজমিন পর্যবেক্ষণে জানা যায়, জনবসতি এলাকা মানিকনগর মৌজার ফসলি কৃষিজমিতে উপজেলার থোল্লাকান্দি গ্রামের আবদুল লতিফ, নরসিংদী জেলা সদরের খগেন্দ্র দাস, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আগানগর গ্রামের মো. সেলিম মিয়া পার্টনারশিপে এ ইটভাটা নির্মাণ করছেন। কৃষক আওয়াল মিয়া ও মানিক মিয়া বলেন, এখানে ইটভাটা হলে ভাটা সংলগ্ন আমাদের কৃষিজমি নষ্ট হবে। সরকারের কাছ আমাদের দাবি-এ ইটভাটা নির্মাণ বন্ধ করা হোক, বন্ধ না হলে কৃষিজমি রক্ষায় আন্দোলনে নামতে আমরা বাধ্য হব। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইটভাটার অংশীদার মো. আবদুল লতিফ জেলা প্রশাসকের অনুমোদন ও পরিবেশের ছাড়পত্র-কোনো কিছুই দেখাতে পারেননি। কিন্তু অনুমোদন আছে জানিয়ে বিষয়গুলো প্রক্রিয়াধীন বলে জানান।
Posted ৪:২৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।