মো মাহফুজুর রহমান বিপ্লব | রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট
নারীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের সুস্থ্যতা নিশিন্ত করণে সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে গতকাল শনিবার এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে এফপিএবি ফরিদপুর জেলা শাখা। এফপিএবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন এফপিএবির জেলা কর্মকর্তা এ.কে.এম. শাহজাহান। এফপিএবির জেলা কোঅর্ডিনেটর মো. হাফিজুর রহমানের সঞালনায় সভায় অতিথি হিসাবে ছিলেন ফরিদপুর পৌরসভার ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আলাওল হোসেন তনু এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর তানিয়া আক্তার ইভা। সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন পিকেএস এর সুপারভাইজার মো. সাব্বির হোসেন, ব্লাস্ট ফরিদপুরের মেডিয়েশন অফিসার ফারাহ্ দিবা, মেরী স্টোপস বাংলাদেশের মো. আনসারুল ইসলাম, সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সদর ফরিদপুর মাসুদ হোসেন মিলন ও লাইট হাউস ফরিদপুরের ইনচার্জ মো. পলাশ খান। সভায় শুভেচ্ছা ব্যক্তব্যে এফবিএবি ফরিদপুর শাখার কোঅর্ডিনেটর সীমা আক্তার বলেন, বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি) একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান যা ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে ডাক্তার হুমায়রা সাঈদ প্রতিষ্ঠা করেন। যা বর্তমানে দেশের ২১টি জেলায় শাখা কার্যালয় ও ১১ জেলায় বিশেষ কর্ম ইউনিট কার্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের সেবা কার্যক্রম প্ররিচালনা করছে। মো. হাফিজুর রহমান বলেন এফপিএবি নানা সেবা প্রদান করছে তারমধ্যে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কিত তথ্য ও সেবা, প্রসবপূর্ব ও পরবর্তী সেবা, নির্যাতিত মহিলাদের চিহ্নিতকরণ ও তাদের সেবা, টিকা প্রদান (ইপিআই), জরায়ু মুখ ক্যান্সার নির্ণয়করণ, আল্ট্রাসনোগ্রাফী, ভিসিটি ও যুববান্ধন সেবা বিশেষভাবে উল্লেখ্যযোগ্য। মো. আনসারুল ইসলাম বলেন, মেরী স্টোপস বাংলাদেশ টেলিফোন ভিত্তিক সেবা প্রদান শুরু করেছে যা ০৮০০০২২২৩৩৩ নম্বরে রাত দিন সার্বক্ষণিক যৌন ও প্রজনণ স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোন তথ্য বিনামূল্যে প্রদান করে থাকে। মো. পলাশ খান বলেন, লাইট হাউসের সঙ্গে এফবিএবি দীর্ঘদিন ব্যাপি নানা কার্যক্রম দ্বারা সম্পর্কিত। অতীতে লাইট হাউস এবং এফবিএব নানা কার্যক্রম একত্রে সম্পাদন করেছে। তাই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠির অবস্থানস্থলে স্যাটেলাইট চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপনের মধ্য দিয়ে তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা করা হবে যা বাস্তাবায়ন করবে লাইট হাউস ও এফবিএবি ফরিদপুর জেলা শাখা। তানিয়া আক্তার ইভা বলেন এফবিএবির সেবাসমূহ নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে উঠান বৈঠক করা যেতে পারে যার যাতে এফপিএবির সেবাসমূহ তৃণমুল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়। সৈয়দ আলাওল বলেন, এফবিএবির তথ্যসেবাপত্র ব্যাপকভাবে মানুষের হাতে পৌছি দিয়ে এফপিএবিকে মানুষের আরো নিকটে নিয়ে যাওয়া সম্ভব যা মানুষের কল্যাণে ভূমিকা রাখবে। এ.কে.এম. শাহজাহান বলেন এফপিএবির যে চারটি মিশন বা লক্ষ্য বয়েছে তার চতুর্থটি হচ্ছে যৌন সংক্রমণ ও এইচআইভি এইডস নির্মূলে সচেষ্ট এবং ফলপ্রসূ ও কার্যকর কর্মকান্ড পরিচালনা করা। উক্ত লক্ষ্য বাস্তবায়নসহ তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠিদের মাঝে সেবা প্রদানে নানা সহযোগীতা প্রদান করছে লাইট হাউস। তিনি আরো বলেন এফপিএবি তার সেবা প্রদানে গুণগতমানকে সর্বাধিক গুরুপ্ত দিয়ে থাকে যার ফলে এফপিএবি ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে লাভ করেছে ‘রাষ্ট্রীয় জনসংখ্যা পুরস্কার’। তিনি এই অর্জন অক্ষুন্ন রাখতে এফপিএবির প্রতি সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সহযোগীতা অব্যাহত রাখার আহবান জানান
Posted ৬:৪০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।