শফিকুল ইসলাম,নাজিরপুর প্রতিনিধিঃ | শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১ | প্রিন্ট
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার চর রঘুনাথপুর গ্রামের তরমুজ চাষীরা এক সময় তরমুজ উৎপাদনে খ্যাতি অর্জন করেছিল।এ অঞ্চলের প্রধান অর্থকারী ফসল হিসেবে তরমুজ উৎপাদন করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করত।গত দুই বছর ধরে প্লান্ট ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে তাদের মুখের হাঁসি।এ অঞ্চলের তরমুজ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হত। বাগেরহাট,খুলনা, যশোর, বরিশাল সহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা এসে পাইকারী কিনে নিয়ে যাবার জন্য শেখমাটিয়া ইউনিয়নের রামনগর থেকে কচুয়া উপজেলার বয়ারসিংহ ব্রিজ পর্যন্ত ট্রাক নিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতো । সরোজমিন ঘুরে দেখা যায়, এ এলাকায় প্রায় ৯ শত একর জমিতে তরমুজ চাষ হত।
এ বছর মাত্র ৮ একর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। এবং চাষীরা প্রতি একর জমি দিয়ে ৫০/৬০ হাজার টাকা লাভ করত। প্লান্ট ভাইরাসের কারনে তরমুজ চাষ উঠে যাওয়ায় একর প্রতি জমির বাৎসরিক মূল্য বিশ হাজার থেকে দশ হাজার টাকায় নেমে এসেছে। চর রঘুনাথপুর গ্রামের চাষী লিটন মৃধা জানান,এ বছর এক একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি । ভাইরাসের কারনে সব নষ্ট হয়ে গেছে। ৫ কাঠা জমিতে ও তরমুজ নেই।লিটন সিকদার,মো.মতিন সিকদার,মোশারেফ সিকদার,আসলাম কিদার বলেন কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী হাজার হাজার টাকার কীটনাশক ব্যবহার করে ও কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না।
তাই এ ভাইরাস প্রতিরোধ করতে না পেরে আমরা অধিকাংশ চাষীরা ভাঙ্গী,ভট্রা,সূর্যমুখী এসব ফসলের চাষ শুরু করেছি। চাষীরা এ প্রতিবেদককে জানান, তরমুজ উৎপাদন একটি লাভ জনক ব্যবসা। সরকার পদক্ষেপ নিয়ে এ প্লান্ট ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারলে চাষীরা নতুন করে তরমুজ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন।এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দ্বিগবিজয় হাজরা বলেন,একই জায়গায় র্দীঘদিন চাষাবাদ করলে নানাবিধ পোকা মাকড়ের আক্রমন হয়। এটি একটি প্লান্ট ভাইরাস,ম্যানেজম্যান্টের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করা যায় কিন্তু একেবারে ধ্বংস করা যায় না।
Posted ৮:০৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।