অনলাইন ডেস্ক | শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০ | পড়া হয়েছে 217 বার
নবকন্ঠ ডেস্ক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্যপদে ৩২ হাজার ৫৭৭ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি চলতি সপ্তাহে প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রস্তুত করে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে তা প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ২৫ হাজার ৬৩০ জন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক এবং ৬ হাজার ৯৪৭ শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে ওয়েবসাইট আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিপ্তরের নিয়োগ শাখার সহকারী পরিচালক আতিক বিন সাত্তার বলেন, নতুন করে ৩২ হাজার ৫৭৭ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। তার মধ্যে পিইডিপি’র আওতায় প্রাক-প্রাথমিকে ২৫ হাজার ৬৩০ জন এবং বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক শূন্য পদে রাজস্ব খাতে ৬ হাজার ৯৪৭ জন নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সিদ্ধান্ত রয়েছে। অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য এক মাস সময় দেয়া হবে। আবেদন ফি না বাড়িয়ে আগের মতো প্রায় ১৭০ টাকা রাখা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, প্রাক-প্রাথমিক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে ডিপিই থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এ বছর পদটি সরাসরি ১৩তম গ্রেডে উন্নীত হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ কোটা রাখা হবে কি-না, তার ব্যাখ্যা চেয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়।
সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সকল কোটা বাতিল করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ কোটা বহাল রেখে এ নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গত ৫ অক্টোবর সম্মতি দেয়া হয়েছে। এ দিনই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) নির্দেশনা দিয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগের সব কোটা বাতিল করা হয়েছে। কোটাগুলো হলো- মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, আনসার-ভিডিপি, প্রতিবন্ধী ও জেলা কোটা। এখন সহকারী শিক্ষকদের যোগদানকালেই ১৩তম গ্রেড দেয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ায় কোটা বাতিল করা হয়েছে। তবে নির্ধারিত ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা বহাল থাকছে। এগুলোর মধ্যে আবার প্রতিটিতে ২০ শতাংশ করে বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের কোটা অনুসরণ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৬৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মুজিববর্ষে সব শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel