
ইউসুফ আলী চৌধুরী-রাজশাহী প্র্রতিনিধিঃ | বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১ | পড়া হয়েছে 56 বার
কাটাখালী পৌরসভার আয়োজনে করোনায় সংক্রমণরোধে লকডাউন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ১৫’শ অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ করা হয়। বুধবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় মাসকাটাদীঘি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান। উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কাটাখালী পৌরসভার মেয়র মো. আব্বাস আলী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম আখতার জাহান বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে রাজশাহীর মানুষ অত্যান্ত কঠিন সময় পার করছে। প্রায় ১৫ মাস ধরে তারা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। করোনা সংক্রমণরোধে কঠোর লকডাউন ও বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী। তিনি দফায় দফায় খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি আরও জানান, কাটাখালী মেয়র আব্বাস এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সুবিধাভোগীদের কাছে প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সকলের মঙ্গলের জন্য লকডাউন দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে করোনা মহামারীর থেকে রক্ষা করতে টিকা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। তিনি ৩ হাজার ২’শ কোটি টাকার প্যাকেজ দেয়া হবে এবং ১৮ লাখ উপকারভোগীরা পাচ্ছেন মোবাইলের মাধ্যমে ২ হাজার ৫’শ টাকা করে দিচ্ছেন। আমাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। নিজে ও পরিবারের সুরক্ষায় সবাইকে সঠিক নিয়মে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। পৌর এলাকার সকল মানুষ যাতে ভ্যাক্সিন পান, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কাটাখালী পৌর মেয়র আব্বাস আলী বলেন, আমি চাই আমার পৌরসভার প্রতিটি মানুষ মাস্ক ব্যবহার করুক, সচেতনতার সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুক। করোনা মোকাবেলায় কাটাখালি পৌরসভার কৌশলগত কারণে অনেক জায়গায় প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিন বিভীষিকাময় পরিস্থিতির পার করছে। প্রতিদিনের মৃত্যুর রেকর্ড প্রতিদিনই ভাঙছে। এই লকডাউনে সবচেয়ে বেশি যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদেরকেই প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়ার ক্ষেত্রে। এছাড়াও তিনি আরও জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়েও কাটাখালিতে কেউ মারা যায়নি। কাটাখালীবাসীর সচেতনতায় এটা সম্ভব হয়েছে। প্রত্যেকের হাতের নাগালে স্যানিটাইজার, মাস্ক রাখা হয়েছে। আগামী কাল থেকে লকডাউন তুলে নেয়া হবে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এসময়, মাসকাটাদীঘি স্কুল মাঠে সামাজিক দূরত্ব মেনে সারি সারি করে বসানো হয় ১৫’শ চেয়ার এবং প্রতিটি চেয়ারের পাশে রাখা হয় খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট। প্রতিটি প্যাকেটে আছে ১৫ কেজি করে চাল, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি মসুর ডাল ও আধা লিটার সরিষার তেল। অনুষ্ঠানের সভাপতি কয়েকজনের হাতে প্যাকেট তুলে দিয়ে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর প্রতিটি ব্যক্তি তার চেয়ারের পাশে রাখা প্যাকেট নিয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে শৃঙ্খলভাবে মাঠ ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২:২৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel