রিপোর্টার খুরশীদ আলম | শনিবার, ০৫ মার্চ ২০২২ | প্রিন্ট
মামলাবাজ লাবনীর অদৃশ্য শক্তিতে অসহায় পুলিশ। নারী কন্সটেবলকে আঘাত করে মামলা বাজ লাবনী ধরাছোঁয়ার বাহিরে। গাজীপুরে কাশিমপুরের ছান্দা এলাকায় এক মামলাবাজ নারীর হয়রানি মূলক মামলার স্বীকার হয়ে বিপাকে পড়েছেন সারদাগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ী মো. তরিকুল ইসলাম সবুজ ও তার ছোট ভাই মানিক। একের পর এক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা মামলায় অতিষ্ঠ হয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ভুক্তভোগী এ পরিবার। এ ছাড়া মামলাবাজ লাবনীর মামলার স্বীকার হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এমন অভিযোগ কাশিমপুর এলাকার অনেকের। একই ব্যক্তি একই সময়ে থানা ও কোর্টে একাধিক মামলার বাদী হওয়ায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন পূলিশ প্রশাসন। থানায় থানায় বিভিন্ন মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে বেড়ানোই তার নেশা ও কাজ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির নামে একই অভিযোগে একাধিক থানা ও কোর্টে মামলা করেছেন লাবনী বেগম ।এসব মামলা করতে নিজেকে কখনো প্রবাসীর স্ত্রী , কখনো সরকারী বড় কর্মকর্তার বোন, আবার কখনো নিজেকে পরিচয় দেন মন্ত্রীর পবিরাবের লোক হিসেবে। আর পরে মামলা আপোষের মাধ্যমেই হাতিয়ে নিতেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।চাহিদামত টাকা না পেলে দিতেন একের পর এক মিথ্যা মামলা। অবশেষে এক নারীর কনস্টেবলের ওপর হামলা ও সরকারী কাজে বাধাঁ দেন মামলাবাজ লাবনী। গত বুধ(০২ মার্চ)সন্ধ্যায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন কাশিমপুর থানায় মামলার সাক্ষীর কাগজ পত্র জমা দিতে যায় লাবনী। মামলার কর্মকর্তার নির্দেশে কন্সটেবল রুমা কাগজপত্রে সাক্ষীদের নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ করেন।এসময় লাবনী বিস্তারিত লিপিবদ্ধ করার জন্য রুমাকে চাপ সৃষ্টি করেন। রুমা সব লিপিবদ্ধ করছি বলে জানালে।লাবনী প্রথমে কন্সটেবল রুমার সাথে খারাপ আচরণ করেন।রুমা খারাপ আচরণ কেন করছেন জানতে চাইলে লাবনী কন্সটেবল রুমাকে বসার চেয়ার দিয়ে শারীরিক ভাবে আঘাত করেন।এ ঘটনায় উল্টে পুলিশকে ফাঁসাতে নতুন নাটক মিশনে নেমেছেন মামলাবাজ এ নারী। এব্যপারে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব এ খোদা জানান, ভুয়া পরিচয় কাজে লাগিয়ে নিজের কিংবা অন্যের হয়ে ভাড়ায় প্রতিপক্ষের নামে গাজীপুরজেলা ও মেট্রোপলিটনের বিভিন্ন থানায় প্রভাবশালীদের নামে মামলা করাই তার পেশা। এমনকি মামলায় নিজের ঠিকানা হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করতেন।মামলাবাজ লাবনী দেশের বিভিন্ন আদালত এবং থানায় এক ডজন মামলার ভূয়া বাদী হয়ে নিরপরাধ মানুষকে মামলা দিয়ে হয়রানী করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া যেন তার নেশা ও পেশা।তার বিরুদ্ধে অহরহ অভিযোগ রয়েছে থানায় ।একজন পার্লার কর্মী হয়ে মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাসানো সব কৌশলরপ্ত করেছেন মামলাবাজ লাবনী।
Posted ৪:২৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৫ মার্চ ২০২২
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।