সাবরীন জেরীন,মাদারীপুর। | রবিবার, ৩০ মে ২০২১ | পড়া হয়েছে 223 বার
গাছের পানি ফল (আরমুজ) পেড়ে দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে সাড়ে ৪ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে,মামলা নং-২১৩। আসামী ধর্ষন মামলা থেকে বাচার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারের বিরুদ্ধে আসামীর পিতা ইউনুছ বয়াতী অপহরণ মামলা দায়ের করেন মাদারীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিসট্রেট আদালতে। কালকিনি উপজেলার শিকার মঙ্গল গ্রামের ইউনুস বয়াতীর ছেলে শওকত (২০) বয়াতী গত ২২ এপ্রিল বিকেল ৬ টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলা রাস্তী ইউনিয়নের লক্ষিগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটায়। এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২২ এপ্রিল বিকেল ৬ টার দিকে সাড়ে ৪ বছরের শিশুটি বাড়ির পাশে খেলতে গেলে প্রতিবেশী মাহিন হাওলাদারের স্যালোক শওকত বয়াতী(২০) শিশুটিকে পানি ফল(আরমুজ)পেড়ে দিবে বলে বাড়ির পাশে থাকা ছোট একটি ঘরে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় শিশুটির চিৎকারে আশেপাশে থাকা লোকজন চলে আসলে তাদের দুজনকে অপ্রীতিকর অবস্থায় পায়। ঘটনাটি এলাকাবাসীদের মধ্যে জানাজানি হলে অভিযুক্ত শওকত এর দুলাভাই মাহিন হাওলাদার ও বিয়াই শাহিন হাওলাদার (মুন্সী) ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা না করার হুমকি দেয়। ধর্ষন চেষ্টার ১ দিন পর (গত ২৪ এপ্রিল) শওকত বয়াতীকে প্রধান আসামী করে মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষনের চেষ্টা ও হুমকি ধামকি বিষয়ে মাদারীপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শিশুটির পিতা আলমাছ বেপারী। এর ঠিক কিছুদিন পর গত ১২ মে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ কারী শওকত বয়াতীর বাবা ইউনুছ বয়াতী শিশুটির বাবা আলমাছ বেপারীসহ পরিবারের ৫ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্ট্রেট আদালতে একটি অপহরন মিথ্যা মামলা দয়ের করেন বলে আলমাছ বেপারী জানায়। ভুক্তভোগী পরিবরের দাবী, শওকত আমাদের সাড়ে ৪ বছরের মেয়েকে ধর্ষনের চেষ্টা করেছে। আমার মেয়ের চিৎকার শুনে সাথে সাথে না গেলে অনেক বড় ধরনের একটি দূর্ঘটনা ঘটতে পারত। আমি ধর্ষনের চেষ্টাকারী শতকত বয়াতীর নামে ও আমাদেরকে হুমকি দামকি দিয়েছে শওকতের দুলাভাই মাহিন হওলাদার,বিয়াই শাহিন হওলাদার ও শওকতের বোন লাভলী বেগমের বিরদ্ধে থানায় মামলা করেছি। মামলা করার পূর্বে আমি যাতে থানায় না যেতে পারি সে জন্য আমার বাড়ির চারপাশে লাঠিসোটা নিয়ে দাড়িয়েছিল পড়ে আমি আমার মোবাইল দিয়ে ৯৯৯ কল করে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে থানায় গিয়ে মামলা করি। এমনকি আমি থানায় ধর্ষন মামলা করার কারনে তারা আমাদের বিরুদ্ধে অপহরণ করার এটি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। সওকতকে নাকি আমরা অপহরন করেছি..? এমকি এখনো তারা মামলা উঠনোর জন্য আমাদের বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছে এবং মামলা না উঠাইলে আমাদের কে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার দাবি আমারা এর সঠিক বিচার চাই। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে, এ মর্মে থানায় একটি মামলা নেয়া হয়েছে। কিছুদিনপর আসামী পক্ষের লোকজন একটি অপহরণ মামলা করেছে। আমরা দুটি মামলাই তদন্ত করছি। আমারা আশা করি প্রকৃত সত্যটা খুব শীগ্রই বের করে আনতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ১:৫৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ৩০ মে ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel