আল মাসুদ লিটন জামালপুর জেলা প্রতিনিধি | রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
:- মাদারগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসের প্রকৌশলী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ওপর সরকারি প্রকল্পের তথ্য গোপনের অভিযোগ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেও উনারা সাংবাদিকদের কোনো তথ্য প্রদান করতে পারেননি। তথ্য চাহিয়া আবেদন ফরমের রিসিভ কপি থাকা সত্ত্বেও এবং সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস কর্তৃক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। সাংবাদিকগণ দিনের-পর-দিন প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস কর্তৃক অবহেলিত এবং উদ্ভট ব্যবহারের সম্মুখীন হয়ে আসছে। সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও তার প্রকৌশলীর বক্তব্য হল পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেই কি হয়! সাংবাদিকেরা যা করতে পারে করুক, আমরা আমাদের গতিতেই চলবো। সংবাদ প্রকাশের ভিত্তিতে একটি বিষয় উল্লেখ্য থাকে যে, প্রকৌশলী মোঃ মনির হাসান গত অর্থবছর ২০১৯/২০২০ সালের কর্মসূচির অনেক ভাঁওতাবাজি করেছেন। গত অর্থবছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটি, সরকারের গৃহায়ন প্রকল্প। গৃহায়ন প্রকল্পে প্রকৌশলীসহ অফিসের আরো বেশ কয়েকজন মিলে উপজেলার অন্তর্গত প্রায় ২২ টি ঘর নিয়ে হতদরিদ্রদের মাঝে খাস জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কারচুপি করেছেন। ইতোমধ্যেই উপজেলা কতৃপক্ষের দ্বারা ভূমিহীনদের গৃহায়ন প্রকল্প নিয়ে যে আর্থিক লেনদেন সহ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন তার একটি ভিডিও ফুটেজ সাংবাদিকদের হাতে এসে পৌঁছেছে। যদিও বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য অনেক প্রচেষ্টা চলেছে তবুও পরিশেষে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। মাদারগঞ্জ উপজেলা একটি অন্যতম ঐতিহাসিক উপজেলা। এ উপজেলায় দুর্নীতি থাকবে এটা উপরমহলের কারোরই কাঙ্ক্ষিত নয়। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের তথ্য প্রদান না করায় সাংবাদিকদের জন্য একটা বিষয়ে অনেক সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, উপজেলায় সরকারি প্রকল্পের প্রায় বেশিরভাগ প্রকল্প গুলাই দুর্নীতি-অনিয়মে ভরপুর। যার ফলশ্রুতিতে উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, তার প্রকৌশলী এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সকল বিষয়গুলো অত্যন্ত মিষ্টভাষীতার সাথে এড়িয়ে যান। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কখনোই কারো কথারই তোয়াক্কা করেন না।
Posted ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।