নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে দীর্ঘদিন যাবত রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে (পাগলী) নারীর জন্ম দেয়া সন্তানের বাবা কে? এই প্রশ্ন এখন সবার মুখে।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় পাগল এই নারী। সন্তানের পিতৃ পরিচয় বলতে পারেন না তিনি। আনুমানিক ৩০ বছর বয়স এই নারী কিছুটা শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে। তবে তার নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করলেও সে কিছুই বলতে পারে না। তার এই বাচ্চাকে নিয়ে যেতে নার্সসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে লেগেছে টানাটানি।
জানা গেছে, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন এলাকায় গর্ভাবস্থায় দীর্ঘদিন যাবত ঘুরে বেড়াচ্ছিল পাগল এই নারী। পরে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ডেংরা মিস্ত্রির বাড়ির পাশে রাস্তায় বসে প্রসব বেদনায় কান্নাকাটি শুরু করে। তার চিৎকার শুনে এক ভাড়াটিয়া স্থানীয় সাংবাদিকের সহযোগিতা চাইলে তিনি লোকজন দিয়ে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে পাঠালে পথিমধ্যে পাগলী একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে। পরে নবজাতকসহ তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
এদিকে পাগলীর এই সন্তানকে দত্তক নেয়ার জন্য হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রোকেয়া আক্তার ও সমাপ্তি রানী টানাটানি শুরু করেছেন। শুধু তারাই নন সাধারণজনগণের মধ্যে অনেকেও বাচ্চাকে নিতে চাইছেন কিন্তু কেউ পাগলীর দায়িত্ব নিতে চাচ্ছেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ এলাহী জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন এই নারী তার বাচ্চাসহ নিয়ম অনুযায়ী সরকারী হেফাজতে থাকবে।