পিরোজপুরের নাজিরপুরে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা নাজিরপুর কলেজ শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্মরনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে পুলিশি বাঁধায় পন্ড হয়েছে বলে অভিযোগ করেন উপজেলা বিএনপি। শনিবার ২৬ শে মার্চ সকাল ৯ টায় এর প্রতিবাদে নাজিরপুর উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সংম্মেলনে এসব কথা বলেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম খান। এসময় সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, আজ ২৬মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। যারা তাজা রক্তের বিনিময়ে আমাদের দেশ স্বাধীন করেছেন তাদের শ্রদ্ধা জানাতে গেলে পুলিশ আমাদেরকে ফুল দিতে বাঁধা দেয়,ব্যানার ছিনিয়ে নেয় এবং কয়েকজন নেতাকর্মীকেও আহত করে। পুলিশ জনগনের বন্ধু।পুলিশ কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী নয়। তারা কেন আমাদের ফুল দিতে বাধা দিবে আমাদের ব্যনার ছিনিয়ে নিবে, আমাদের ছাত্রনেতাদেরকে শহীদ মিনারে বসে লাঞ্চিত করবে এবং আমাদের ছেলেদের ভিডিও রেকর্ডের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ভিডিও ডিলেট করবে। আমরা সংঘাত এড়ানোর জন্য উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে না গিয়ে কলেজ শহীদ মিনারে গিয়েছি তারপরেও আমাদের পুলিশের বাঁধার মুখে পরতে হয়েছে, আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে শহীদদের শ্মরনে ফুল দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কয়েকজন পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে আমাদের ফুল দিতে বাধা দিলে আমরা ফিরে আসি। এদেশে কোন গণতন্ত্র নেই, আমরা এর সঠিক বিচার চাই।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম খান,সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রফিকুল ইসলাম, সেখমাটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরদার সাফায়েত হোসেন শাহীন,সাবেক সভাপতি আব্দুস ছালাম শেখ, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শামীম হাসান , সদস্য সচিব তারেক আব্দুল্লাহ্ খান বাপ্পি, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এনামুল করিম শিপন,সদস্য সচিব রিয়াজুল ইসলাম ফরাজি,ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক মাজেদুল কবির রাসেল,যুগ্ন আহবায়ক রাসেল সিকদার,মেহেদী হাসান, শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক মাঈনুল ইসলাম মিন্টু সহ স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এবিষয় নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, বিএনপির এই অভিযোগের সত্যতা নাই। তাদের ফুল তারা দিবে আমাদের বাধা দেওয়ার কিছু নাই। তবে আমি শুনেছি নিজেদের মধ্যে নিজেরা ঝামেলা বিবাদ করে ফুল দেওয়া থেকে বিরত ছিল।