শফিকুল ইসলাম, নাজিরপুর প্রতিনিধিঃ | মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১ | প্রিন্ট
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর সদর ইউনিয়নে জাটকা আহরনকারী হতদরিদ্র মৎস্যজীবীদের তালিকা প্রনয়ন করায় স্বজনপ্রীতী,অর্থ লেনদেন,চাল বিতরনে কম দেয়া সহ বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে।এ ঘটনায় প্রকৃত হতদরিদ্র মৎস্যজীবীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ভুয়া নাম বাদ দিয়ে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের নাম অর্ন্তভুক্ত করার দাবি জানান। সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালীন চার মাস জেলেদের কথা বিবেচনা করে সরকার এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ ইউনিয়নে সর্বমোট ২৪৮ জন হতদরিদ্র জেলেদের তালিকা করা হয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকই রয়েছে বিত্তবান,অর্থশালী আবার এমন লোক ও রয়েছে যারা জীবনে সখ করে ও কোনদিন গ্রামের নালা খালায় ও মাছ ধরেনি।এতে প্রকৃত সাগরে জাটকা মাছ আহরনকারী জেলেদের নাম বাদ পড়ায় তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কুমারখালী গ্রামের জাটকা আহরনকারী মৎস্যজীবি মাসুম নিকারী অভিযোগ করেন,নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো. নুরুল ইসলাম ও মৎস্য ও প্রানি সম্পদ মন্ত্রীর প্রতিনিধি জাতীয় মৎস্যজীবী নেতা হায়দার মোল্লা,বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবিলীগ নেতা লিটন মোল্লা এ অনিয়ম করেছে । এ বিষয় হায়দার মেল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,বিগত দিনে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি জেলে সমিতির নেতা ইলিয়াছ মোল্লা ও মো.সাইফুল ইসলাম সরদার এ ধরনের অনেক অনিয়ম করেছ তার প্রতিবাদ করায় আমার নামে এ অভিয়োগ আনা হয়েছে। সচিব মো. নুরুল ইসলাম জানান, আমি এ ব্যপারে কিছুই জানিনা। যদি এ তালিকায় কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তবে তা মৎস্য জীবি নেতাদের হস্তক্ষেপে হয়েছে।সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন জানান,মন্ত্রীর প্রতিনিধি মৎস্যজীবি নেতারা অথের্র বিনিময় তালিকায় জেলেদের নাম অর্ন্তভুক্ত করেছে তা আমার নিকট অভিযোগ এসেছে। নাজিরপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম মন্ডল জানান,এ প্রকল্পের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার,আমি একজন শুধু সদস্য মাত্র। এ অনিয়মের ব্যপারে আমি কিছুই জানিনা।এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এ অনিয়মের আমি এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
Posted ৯:৫৬ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।