| বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
শান্ত বণিক, বিশেষ প্রতিনিধি:
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নরসিংদীতে স্পেশাল অলিম্পিক তরুণ ক্রীড়াবিদ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে জেলার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ১১টি বিষয়ে ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশের জাতীয় পরিচালক ফারুকুল ইসলাম, স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশের বিশেষ শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় প্রশিক্ষক ডা. মারুফ আহমেদ মৃদুল, নরসিংদী জেলা কালচারাল অফিসার শাহেলা খাতুন, নরসিংদী শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম হিমেল প্রমূখ।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক নরসিংদীর নবকন্ঠ এর প্রধান সম্পাদক ও দৈনিক বাংলার নবকণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি শান্ত বণিক, প্রাণতোষ আর্ট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রাণতোষ দত্ত। ইভেন্টটি সার্বিক পরিচালনা করেন নরসিংদী সুইড বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশ নরসিংদী জেলার ট্রেইনার মো. জসিম উদ্দিন সরকার। সভাপতিত্ব করেন নরসিংদী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আবু কাউছার সুমন।
অনুষ্ঠানটির ২য় পর্বে নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের শিক্ষক, অভিভাবক, ভলান্টিয়ার ও ট্রেইনারদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় নরসিংদীর জেলা প্রশাসকের পক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার মো. ফয়জুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশের পরিচালক ফারুকুল ইসলাম, স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশের বিশেষ শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় প্রশিক্ষক ডা. মারুফ আহমেদ মৃদুল, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম অফিসার অরবিন্দ পান্ডে প্রমূখ। সভাপিতত্ব করেন নরসিংদী সুইড বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশ নরসিংদী জেলার ট্রেইনার মো. জসিম উদ্দিন সরকার। কর্মশালায় শিক্ষক, অভিভাবক, ভলান্টিয়ার ও ট্রেইনারসহ মোট ৮০জন অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, স্পেশাল অলিম্পিক একটি বৈশ্বিক সংগঠন যা প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবক এবং কোচের সাথে কাজ করে অটিজম ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদদের সেবা করে। ১৯৬৮ সালে বিশেষ অলিম্পিক প্রতিষ্ঠার পর থেকে, সংগঠনের সাথে জড়িত বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধী এবং তাদের ছাড়া মানুষের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হচ্ছে, কিন্তু বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছানোর অপরিহার্য প্রয়োজন অত্যাশ্চর্য।
এটি স্থানীয় পর্যায়ে-ঠিক এখানে-যেখানে আগ্রহী স্বেচ্ছাসেবীরা ক্রীড়াবিদদের সাথে দেখা করে। সেখান থেকেই উপলব্ধিগুলি পরিবর্তিত হতে শুরু করে এবং যেখানে রূপান্তরের অলৌকিক ঘটনা ঘটে।
বিশেষ অলিম্পিক বছরব্যাপী ক্রীড়া প্রশিক্ষণ এবং বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুদের এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বিভিন্ন অলিম্পিক ধরণের খেলাধুলায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা প্রদান করে। এই ক্রিয়াকলাপগুলি তাদের শারীরিক সুস্থতা বিকাশ, সাহস প্রদর্শন, আনন্দ উপভোগ এবং উপহার, দক্ষতা এবং বন্ধুত্ব ভাগ করে নেওয়ার অব্যাহত সুযোগ দেয়।
Posted ৮:০৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।