নিহত আবুল কালাম উপজেলার চালাকচর ইউনিয়নের হাফিজপুর এলাকার আব্দুল আওয়ালের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি বেসরকারি মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন এবং তিন মেয়ের জনক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে হাফিজপুর এলাকায় শহিদউল্লাহ ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আবুল কালামের পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এতে আহত হন নিহতের পিতা আব্দুল আউয়াল (৬৫), বড় ভাই আবু বাক্কার (৪০), স্ত্রী হাবিবা (২৮) ও আরও কয়েকজন। গুরুতর অবস্থায় আবুল কালামকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রোববার (১৮ মে) ভোরে তিনি মারা যান।
সোমবার সকালে ঢাকা থেকে মরদেহ আসার পর এলাকাবাসী লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেয় এবং থানার সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেয়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচি পুলিশ আশ্বাস দিলে স্থগিত করা হয়।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিনই থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে, যা বর্তমানে হত্যা মামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।