নরসিংদীতে আইন অমান্য করে ব্যাটারি বা সিএনজিচালিত তিন চাকার যানবাহন মহাসড়ক দাঁপিয়ে বেড়াত। অবশেষে সেসব যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা পুলিশ।
এর আগে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহনের দৌরাত্ম্য থেমে ছিল না।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মহাসড়কে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিকরা বলেন ‘পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন বন্ধ করতে কঠোর অবস্থানে আছি। যেসব চালক ট্রাফিক আইন অমান্য করছেন, তাদের তিন চাকার যানবাহনগুলো জব্দ তালিকায় নেওয়া হচ্ছে।’
তবে নিষেধাজ্ঞা দিলেও এখনো নরসিংদীর পাঁচদোনা থেকে জেলখানা মোড়, ভেলানগর ও ইটাখোলা দিয়ে চলছে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও সিএনজিচালিত তিন চাকার যান। এ সময় চালকদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, মহাসড়কে অল্প পথে বাসে যাত্রী নিতে চায় না। সে জন্য তিন চাকার যানের চাহিদা থাকে। যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে চালকরা মহাসড়কেও এসব তিন চাকার যানবাহন চালান। নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে মহাসড়কের দুই পাশে তিন চাকার যান চলাচলের জন্য আলাদা লেন করে দেওয়ার দাবি জানান তারা।
এদিকে যাত্রীদের অভিযোগ মহাসড়কে বাসগুলোতে ভিড় বেশি থাকায় বাধ্য হয়ে তিন চাকার যানবাহনে উঠতে হচ্ছে। পাশাপাশি তিন চাকার যানবাহনের অধিকাংশ চালকের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। তাদের গাড়ী চালানোর কোন প্রশিক্ষণও নেই। এসব কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনা। তিন চাকার যানবাহন চালকরা যেহেতু নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা করছে না তাই আমরাও জীবনের ঝুঁকি জেনেও যাতায়াত করছি।
দূরপাল্লার বাসচালকরা জানান, সিলেট থেকে চার ঘণ্টার পথ পাড়ি দেওয়া যেত, কিন্তু মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহনের জন্য গাড়ি চলাচলের কারণে দ্বিগুণ সময় লাগছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। তবে নরসিংদীতে ঈদের পর থেকে কিছুটা তিন চাকার যানবাহন কমে এসেছে। পুরোপুরি বন্ধ হলে সড়কে স্বস্তি ফিরবে ও কমবে দুর্ঘটনা।
পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবুও সেসব যানবাহন চলছিল। এতে দূরপাল্লার যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। তাই আমরা এসব বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’