শনিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

>>

নরসিংদীতে মশিগশি কার্যক্রম এর আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শোক সভা ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত

  |   সোমবার, ১৬ আগস্ট ২০২১   |   প্রিন্ট

নরসিংদীতে মশিগশি কার্যক্রম এর আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শোক সভা ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত

নবকণ্ঠ ডেস্ক:

মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’এর ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মশিগশি কার্যক্রম নরসিংদী জেলা কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত জুম অ্যাপের মাধ্যমে শোক সভা ও প্রার্থনা রবিবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের সম্মানিত ট্রাস্ট্রি বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন দৈনিক নরসিংদীর নবকণ্ঠ এর প্রধান সম্পাদক ও দৈনিক বাংলার নবকণ্ঠ এর বিশেষ প্রতিনিধি শান্ত বণিক ও মশিগশি কার্যক্রম প্রকল্প নরসিংদী জেলার মনিটরিং কমিটির সদস্য রনজিত কুমার সাহা ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মশিগশি কার্যক্রম প্রকল্প নরসিংদী জেলার সহকারি প্রকল্প পরিচালক দীপ্তি দাস। এ সময় জেলা কার্যালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকবৃন্দ সংযুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষক জয়ন্ত বণিক।

এ সময় ভক্তারা বলেন, শোকাবহ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী। বাংলার ইতিহাসে ১৫ আগষ্ট তারিখ প্রতিবছর ফিরে আসে কিন্তু ফিরে আসেনা আমাদের অভিবাভক । ১৯৭৫ সালের এইদিনে ভোররাতে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে সংঘঠিত হয়েছিল বেদনাবিধুর এক কলঙ্কিত অধ্যায়। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, বাঙ্গালি জাতির মহানায়ক’কে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল। সেইদিন ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, সেই নরপিশাচদের হাতে প্রাণ হারিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর সহধর্মীনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধু সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরো অনেকে। চারিদিকে ঘাতকের উদ্ধত সঙ্গিন। মুছে দিতে চেয়েছিল স্বপরিবারে রক্তের চিহ্নসহ জাতির পিতার লাশ।
১৯৬০ এর দশকে যখন তিনি ছয় দফা আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন, তখন থেকেই বাঙালি জাতি স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। ১৯৬৯-৭০ সালের নির্বাচনী প্রচারণার মাধ্যমে তিনি এই স্বাধীনতার স্বপ্ন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচার করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
‘একনেতা একদেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ স্লোগানের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে বাঙালির আলাদা রাষ্ট্র ও জাতিসত্তা গঠনের প্রত্যয় গড়ে ওঠে। তার নেতৃত্বে জনগণের আস্থা ছিল বলেই আওয়ামী লীগ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে অভূতপূর্ব সাফল্য পায়। শুধুমাত্র দেশ ও জাতির স্বার্থে তিনি তার রাজনৈতিক জীবনে দীর্ঘ ১৪ টি বছর (৪ হাজার ৬৮২ দিন) কারাবরণ করেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে যার নাম উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো দীপ্যমান তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার দূরদর্শী, বিচক্ষণ এবং সঠিক নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং স্বাধীন বাঙালি জাতির জনক। তিনি নিজের স্বার্থকে কখনো প্রাধান্য দেন নি। বাঙালি জাতির কল্যানের কথাই তিনি ভেবেছেন। জেল জুলুম ও নির্যাতনের কাছে তিনি কখনো মাথা নত করেন নি। সমস্ত জাতিকে তিনি মুক্তি ও স্বাধীন একটি ভূখন্ড দিয়েছেন। এই মহান ব্যক্তির জন্য আমরা পেয়েছি একটি বাংলাদেশ। এই মহান ব্যক্তি বাংলার প্রতিটি মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য গ্রামে গঞ্জে ছুটে বেড়িয়েছেন। কতিপয় কুলাঙ্গার ষড়যন্ত্র করে হত্যা করেছে তাকে। তারা একজন মানুষকে হত্যা করেছে কিন্তু তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। জাতির পিতার আদর্শকে আকড়ে ধরে এই দেশ কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” আজ সমগ্র বাঙালি জাতির কাছে এক ও অভিন্ন নাম।

বক্তব্য শেষে সৃষ্টিকর্তার কাছে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আতœার সদগতি ও শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

Facebook Comments Box

Posted ৭:১৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৬ আগস্ট ২০২১

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১০ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com

nilüfer escort coin master free spins