| শনিবার, ১৪ আগস্ট ২০২১ | প্রিন্ট
শান্ত বণিক, বিশেষ প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন বিআরটিসি নরসিংদী বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুর ৩টায় জুম অ্যাপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বিআরটিসি চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মো. তাজুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ড. মো. জিয়াউদ্দীন, যুগ্ম সচিব, পরিচালক (প্রশাসন ও অপারেশন), বিআরটিসি, কর্ণেল মো. জাহিদ হোসেন, পরিচালক (কারিগরি), বিআরটিসি, বিষ্ণু কুমার সরকার, জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন ও পার্সোনাল), বিআরটিসি, মো. আমজাদ হোসেন, জেনারেল ম্যানেজার (হিসাব), বিআরটিসি, মেজর আলিমুর রহমান, জেনারেল ম্যানেজার (টেকনিক্যাল), বিআরটিসি, মেজর মোক্তারুজ্জামান, জেনারেল ম্যানেজার (আইসিডব্লিউএস), বিআরটিসি, মোহাম্মদ সাইদুর রহমান (উপসচিব), সচিব, বিআরটিসি, মো. হাবিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, নরসিংদী। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিআরটিসি নরসিংদী বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ম্যানেজার (অপারেশন) মো. আজিজুল হক। এ সময় নরসিংদী ডিপোর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, শোকাবহ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী। বাংলার ইতিহাসে ১৫ আগস্ট প্রতিবছর ফিরে আসে কিন্তু ফিরে আসেনা আমাদের অভিবাভক। ১৯৭৫ সালের এইদিনে ভোররাতে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে সংঘঠিত হয়েছিল বেদনাবিধুর এক কলঙ্কিত অধ্যায়। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, বাঙ্গালি জাতির মহানায়ক’কে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল। সেইদিন ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, সেই নরপিশাচদের হাতে প্রাণ হারিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর সহধর্মীনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধু সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরো অনেকে। চারিদিকে ঘাতকের উদ্ধত সঙ্গিন। মুছে দিতে চেয়েছিল স্বপরিবারে রক্তের চিহ্নসহ জাতির পিতার লাশ।
১৯৬০ এর দশকে যখন তিনি ছয় দফা আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন, তখন থেকেই বাঙালি জাতি স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। ১৯৬৯-৭০ সালের নির্বাচনী প্রচারণার মাধ্যমে তিনি এই স্বাধীনতার স্বপ্ন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচার করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ‘একনেতা একদেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ স্লোগানের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে বাঙালির আলাদা রাষ্ট্র ও জাতিসত্তা গঠনের প্রত্যয় গড়ে ওঠে। তার নেতৃত্বে জনগণের আ¯’া ছিল বলেই আওয়ামী লীগ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে অভূতপূর্ব সাফল্য পায়। শুধুমাত্র দেশ ও জাতির স্বার্থে তিনি তার রাজনৈতিক জীবনে দীর্ঘ ১৪ টি বছর (৪ হাজার ৬৮২ দিন) কারাবরণ করেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে যার নাম উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো দীপ্যমান তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার দূরদর্শী, বিচক্ষণ এবং সঠিক নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং স্বাধীন বাঙালি জাতির জনক। তিনি নিজের স্বার্থকে কখনো প্রাধান্য দেন নি। বাঙালি জাতির কল্যানের কথাই তিনি ভেবেছেন। জেল জুলুম ও নির্যাতনের কাছে তিনি কখনো মাথা নত করেন নি। সমস্ত জাতিকে তিনি মুক্তি ও স্বাধীন একটি ভূখন্ড দিয়েছেন। এই মহান ব্যক্তির জন্য আমরা পেয়েছি একটি বাংলাদেশ। এই মহান ব্যক্তি বাংলার প্রতিটি মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য গ্রামে গঞ্জে ছুটে বেড়িয়েছেন। কতিপয় কুলাঙ্গার ষড়যন্ত্র করে হত্যা করেছে তাকে। তারা একজন মানুষকে হত্যা করেছে কিন্তু তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। জাতির পিতার আদর্শকে আকড়ে ধরে এই দেশ কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” আজ সমগ্র বাঙালি জাতির কাছে এক ও অভিন্ন নাম। আল্লাহর কাছে তার বিদেহী আতœার মাগফেরাত কামনা করেন।
উল্লেখ্য ১৯৬১ সালে বঙ্গবন্ধুনিজ হাতে বিআরটিসি গড়েছেন। তার আদর্শকে পুঞ্জীভুত করে বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান বিআরটিসি’কে ধীরে ধীরে উন্নতির শিখড়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান যোগদানের পর হতে বিআরটিসির সার্বিক দিক দিয়েই উন্নত হয়েছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে বিআরটিসিকে ঢেলে সাজানো হয়েছে।
Posted ৮:৪৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৪ আগস্ট ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।