
মোঃ নিজাম উদ্দিন নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া | বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম পূর্বপাড়ায় বাড়ি সুবল সাহার।বাড়ি বলতে ভাঙ্গাচোরা বেড়া-চালায় কোনমতে শীত বৃষ্টিজল থেকে বেঁচে থাকার আশ্রয়!অবলম্বন বলতে পাশে আছে একমাত্র সহধর্মিণী। খেয়ে না খেয়ে এক-একটি দিন কাটে বয়সের ভারে ন্যুব্জ এই দম্পতির। অথচ দেখার কেউ নেই! ক্ষুধার্থ উদরে যৎ সামান্য অন্নজলের যোগান দিতে হামাগুড়ি দিয়ে দিয়ে অতি কষ্টেসৃষ্টে এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শ্যামগ্রাম বাজারে আসেন তিনি।প্রায়অন্ধ স্ত্রী আসেন সাথে। শ্যামগ্রাম বাজারে যৎসামান্য তরিতরকারি নিয়ে ফেরার পথে তার অসহায়ত্ব দেখে এগিয়ে গিয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছুক্ষণ নিরব থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে জানতে চান-ভগবান কবে আমারে মুক্তি দিবোরে বাপ! তিনি চোখেরজল ছেড়ে দিয়ে বলেন-তিনটা মাইয়া আমার,বিয়া দিছি এহন আর আমাগো খোঁজ খবর নেয় না। আত্মীয়-স্বজন অনেকেই আছে ধন্যাট্য ব্যক্তি অথচ কেউ খোঁজ খবর নেয় না। তিনি আফসোস করে বলেন-ভগবান আমারে একটা পোলা দেয়নাই,দিলে কি আর এই দিন এমনে যাইতো? আমার দিন কি এমুন আছিলো বাবা?বছর দুয়েক আগে বাজার থেইক্কা ফিরার পথে অটোরিক্সা আমারে ধাক্কা দিয়া ফালাইয়া দিয়া কোমরডা ভাইঙ্গা ফালাইছে।হের থেইক্কা আমার দূর্দিন। কিভাবে সংসার চলে জানতে চাইলে তিনি আক্ষেপ করে জানান এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বারের তেমন কোনো সাহায্য সহযোগীতা তারা পাননা।এমনকি বয়স্ক ভাতা পঙ্গু ভাতার তালিকায় ওদের নাম নেই!বাজারে এলে তাদের অসহায়ত্ব দেখে এলাকার অনেকেই দয়াদাক্ষিণ্য স্বরুপ সামান্য টাকাকড়ি দেয়,তবে তিনি কখনওই হাত পাতেন না,কিংবা চেয়ে নেন না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন- কেউ যদি আমারে একটা হুইল চেয়ারের ব্যাবস্থা কইরা দিতো তাইলে আর এতো কষ্ট করতে হইতোনা! শ্যামগ্রাম ৫নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার রঞ্জন দেবনাথ জানান,জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে আমি প্রায়ই দেখা হলে খোঁজ-খবর নিয়ে সাহায্য সহযোগীতা করতাম। আমার শপথ হলে ও দায়িত্বভার পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উনার পরিবারকে সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগীতা করবো।
Posted ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।