ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার ভোলাচং পাল পাড়ায় মন্দির কমিটির লোকজনের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ভোলাচং শ্রী শ্রী নামহট্র সংঘের কমিটির লোকজন তার বাড়ির সীমানা দখল করে মন্দির নির্মানের কাজ চালাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি ইসকন অনুসারীর ও মন্দিরের লোকজনকে বাধা দিলে তারা পাত্তা না দিয়েই ভুক্তভোগী পালপাড়ার বাসিন্দা অসিত পালকে উল্টো হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের ভোলাচং পালপাড়ায় ভোলাচং শ্রী শ্রী নামহট্র সংঘ নামে সরকারী অনুদানে নতুন একটি মন্দির নির্মানের কাজ চলমান। যেটির বাস্তবায়নে কাজ করছে হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্ট। উক্ত মন্দির কমিটির লোকজন নিজস্ব সার্ভেয়ার এনে মাপঝোঁক করে নিজেদের সীমানা নির্ধারণ করে তাতে খুটি গেরে বেড়া দেয়। ওই মন্দিরের পুর্ব পাশের অংশে অশিদ পালের জায়গা। তার দাবী তার জমির অংশে মন্দির কমিটি জোরপূর্বক বেড়া দিয়েছে। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী অসিত পাল জানান, তারা আমাকে না জানিয়ে আমার জায়গায় বেড়া দিয়ে দখলের চেষ্টা চালালে আমি সাথেসাথেই পৌর মেয়রকে ঘটনাটি জানায়। আমি বাধা দিলে আমার উপর হামলার চেষ্টা চালায় তারা। স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার ইন্ধনে ইসকন মন্দিরের লোকজন এই অনিয়ম করছে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে কথা বলতে সাংবাদিক এস এ রুবেল উক্ত মন্দিরের পরিচালক প্রভু নিত্যানন্দ দাশের সরনাপন্ন হয়। দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পর উনার বক্তব্য ভিডিও করতে গেলে তিনি এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। এবং সাংবাদিক রুবেলের সাথে খারাপ আচরন করতে থাকেন । উনার এমন রুক্ষ আচরণ দেখে প্রতিবেদক চমকে যান। আশপাশের ইসকনের বহু অনুসারী উপস্থিত থাকলেও তারা প্রভু নিত্যানন্দের এমন আচরণে ভ্যাবাচেকা হয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, এ বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী অশিদ পাল পৌর মেয়রের সরনাপন্ন হলে তিনি সামাজিক ভাবে উভয়ের সম্মতিতে সমাধানের পরামর্শ দেন। তবে সমাধান না করেই বেড়া ও খুটি গাড়ার বিষয়টি জানেন না মেয়র।