ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নবীনগর উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক মোঃ দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী রিনা বেগমক ও একই গ্রামের মনোয়ারা বেগমকে ভোটার তালিকা হালনাগাদে মৃত্ বলে চালিয়ে দিয়েছেন শাহবাজপুর দক্ষিণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিল্লাল হোসেন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে দায়িত্ব পাওয়া এই শিক্ষক বাড়ি বাড়ি না গিয়ে নিজ বাসায় বসে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কাজটি চালিয়ে গেছেন। এমন একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে, সবচেয়ে মারাত্মক অভিযোগ করেছেন মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর স্ত্রী রিনা বেগম। তিনি অভিযোগ করেন করোনা কালীল সময়েের পুর্বে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করার সময় আমি উপস্থিত হলে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কারীরা জানান ভুল বশত আপনার কার্ডটি আসেনি, পরবর্তীতে কার্ড এলে আপনাকে জানানো হবে। কিন্তুু পুরাতন এন আইডি কার্ড দিয়ে করোনা টিকার নিবন্ধন করতে গেলে কার্ডটি কে অকেজো দেখাচ্ছিল, তাই এই বিষয়ে আমি আমার স্বামীকে বললে। তিনি গতকাল ১৫ ই সেপ্টেম্বর বুধবার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজগর আলী জানান আপনাকে মৃত্য দেখিয়ে তথ্য দিয়েছেন শিক্ষক বিল্লাল হোসেন। এমতাবস্থায় শিক্ষক বিল্লাল হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। একই গ্রামের আরো এক অভিযোগকারি মৃত আব্দুল মোতালিবের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ১৭ ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, আমার সাথে সাক্ষাৎ না করে বিল্লাল হোসেন আমাকে মৃত্যু দেখিয়ে তথ্য দিয়েছেন যার ফলে আমার সরকারি বয়স্ক ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে, আমি তার দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করছি। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা আজগর আলী জানান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন ও শিক্ষক কাউছারুল আলমের এর ভুল তথ্য প্রদানের কারনে এমনটি হয়েছে আমি বিষয়টি দেখছি। স্হানীয় বাসিন্দা সাইদুল খোকন বলেন, বিল্লাল লোকজনকে তার বাড়িতে গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে বলতো, যাহারা তার বাড়িতে যায়নি তাদের এমন অনেক ভুল ত্রুটিগুলো হয়েছে। স্হানীয় ইউপি সদস্য আবুল খায়ের বলেন সাংবাদিক দেলোয়ার আমার স্কুল বন্ধু তার স্ত্রী মৃত আমি জানিনা এটা শিক্ষক বিল্লাল হোসেনের অবহেলা, আমি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি। এই বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোকারম হোসেন বলেন বিষয়টি অতন্ত্য দুঃখজনক, আমি এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার সাথে কথা বলবো বিষয়টির সমাধানের জন্য। এই বিষয়ে রিনা বেগমের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তার স্বামী মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি অভিযুক্ত শিক্ষক বিল্লাল হোসেনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রয়োজনে আদালতে মামলা করবো। এই বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক বলেন আমি বিষয়টি দেখছি। শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হোসেন বাবুল বলেন, বিষয়টি অতন্ত্য দুঃখজনক আমি এর সুষ্ঠ সমাধানের জন্য আমার পক্ষ থেকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করবো।