| রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২ | প্রিন্ট
সত্তুর্ধ বৃদ্ধা কুশুম্ব বলা সরকার।বয়সের ভারে ন্যুব্জ। স্বামী হরিদাস সরকারকে হারিয়েছেন ত্রিশ বছর আগে।দুটি মেয়ে বিনা রানী সরকার,বেবি রানী সরকার এরাও বিধবা! বড় মেয়ে বিনা সরকারের একমাত্র সন্তান সম্পা সরকার।বড় নাতনী সম্পাকে কে বিয়ে দিয়েছেন বছর সাতেক আগে।সেও স্বামী সন্তান সহ আশ্রিত কুশুম্ব সরকারের পরিবারে। এখন এই নাতনী ও নাত জামাইয়ের আয় রোজগারে চলে কুশুম্ব বালার ৮ জনের বৃহৎ সংসার। নাতনী সম্পা পেটের দায়ে ইট ভাংগা শ্রমিকের কাজ করেন।নাত জামাই দুলাল সরকার পেশায় কাঠ মিস্ত্রি। প্রতিদিন কাজ থাকেনা, তাই নৈমিত্তিক আয় রোজগার ও থাকেনা,ফলে খাবারো জোটেনা প্রতিদিন। আজ১২ মার্চ শনিবার কুশুম্ব বালা সরকারের বড়িতে গেলে তিনি দৈনিক বাংলার নবকন্ঠ কে জানান- কোনো বাড়ি-ঘর ও জায়গা জমি নেই এই পরিবারটির।থাকেন অন্যের বাড়িতে আশ্রিত। ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম বাজার সংলগ্ন শুভাষ গাঙ্গুলীর বাড়ির এক কোনে চালাঘর তুলে মাথাগোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছেন তারা। অসহায় কুশুম্ব বালা সরকার একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আক্ষেপ করে বলেন- “লোকের কাছে হুনি শেখ হাসিনায় নাকি আমাগো মতো গরীব মাইনসেরে জায়গা জমি দিতাছে,ঘর বানাইয়া দিতাছে,একটা ঘরে মাইয়া নাতি পুতি লইয়া অতি কষ্টে থাহি, আমাগো যদি কদ্দুর মাথা গুজনের জায়গা কইরা দিতো”! সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সাহায্য সহযোগীতা পান কিনা?জানতে চাইলে তিনি আরো জানান-“সাহায্য সহযোগীতা দিবো কইয়া অনেকবার কাগজ পত্তর ও ছবি নিছে,কিন্তুু তেমুন কিছু পাইনাই।” এ বিষয়ে শ্যামগ্রাম ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রঞ্জন দেবনাথ দৈনিক বাংলার নবকন্ঠ কে জানান-মাথা গোঁজার কোনো ঠাঁই না থাকায় আমার ওয়ার্ডের শুভাষ গাঙ্গুলী দাদা দয়াপরবশত ওদের বাড়ির এক কোনে সামান্য একটা চালা তুলে থাকতে দিয়েছেন।এতো আসহায় একটি পরিবারকে কেন সরকারী সাহায্য সহযোগীতা দেয়া হচ্ছেনা, কেন বঞ্চিত হচ্ছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন-আমার পূর্ববর্তী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কতটুকু সহায়তা করেছেন,কিম্বা কেন করেননি সে বিষয়ে আমার জানা নেই। নব নির্বাচিত মেম্বার হিসাবে সরকারী সাহায্য সহযোগীতা যতটুকু পাই পরিবারটিকে দিতে চেষ্টা করবো।
Posted ২:১৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।