মোঃ নিজাম উদ্দিন,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি | শনিবার, ২২ মে ২০২১ | প্রিন্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে উপজেলা বড়িকান্দি ইউনিয়নের বড়িকান্দি, নূরজাহানপুর, সোনাবালুয়া ও ধরাভাঙা এলাকার নদীভাঙন এলাকায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নদী ভাঙনরোধ বাধঁ প্রকল্পের কাজের ধীরগতি,ঠিকাদার বাতিলের এমপি’র নির্দেশ,আরো ১০০ বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলিন, সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবী এলাকাবাসীর। উক্ত প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনকালে নির্ধারিত সময়ে । কাজ না করায় ঠিকাদারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন স্থানীয় সাংসদ মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল। শুক্রবার (২১ মে) সোনাবালুয়া নদী ভাঙনপাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড-এর নদী ভাঙনরোধ প্রকল্পে চলমান কাজের পরিদর্শন ও অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি সভায় উপস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলীকে উদ্দেশ্য করে বলেন,৭০ কোটি টাকার প্রকল্পের চার ভাগের একভাগও কাজ হয়নি। উক্ত ঠিকাদারের সাথে সকল চুক্তি বাতিল করে দ্রত নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে চলমান কাজ সমাপ্তের তাগিদ দেন। ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ হারুত এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহম্মদ, জনশক্তি ব্যুরোর সাবেক মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, ছাত্র নেতা সাইফুল ইসলাম সোহেল, বড়িকান্দি ইউপি আ’লীগ সভাপতি লুৎফুর রহমান লাল মিয়া, প্রভাষক আবু হানিফ। বক্তারা ঠিকাদার কাজ না করায় এ সময়ে মধ্যে এলাকার আরো ১০০ বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে উল্লেখ করে সরকারের কাছে এর ক্ষতিপূরণ দাবী করেন। প্রধান প্রকৌশলী জাহির উদ্দিন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের মধ্যে দিয়ে দ্রত সময়ের মধ্যে প্রল্পের কাজ শুরুর আশ্বাস দেন। উল্লেখ্য টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গত ২০২০ সালে মার্চ মাসে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কাজটি পান এম. জাহের কনস্ট্রাকশন ফার্ম। সিডিউল মোতাবেক ১৮ মাসের মধ্যে প্রকল্প কাজটি শেষ করার নির্দিষ্ট সময় ছিল।
Posted ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২২ মে ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।