মোঃ ফারুক হোসেন,ধামরাই প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
বর্ষা মৌসুম শেষ হলেও ঢাকার ধামরাইয়ে পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় তিনটি গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক কৃষকের শত শত হেক্টর কৃষি জমি এখনো পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। ফলে সরিষা ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করতে পারছে না কৃষকরা। এমন দৃশ্য চোখে পড়ে উপজেলার সোমভাগ ইউনিযনের ডাউটিয়া, জয়পুরা,গোয়ালদী এবং গাওয়াইল গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায়, যেখানে শত শত হেক্টর কৃষি জমির পানি বর্ষা মৌসুম শেষ হতে না হতেই শুকিয়ে যেত। এরপর চাষ হতো ধান,পাট, সরিষা থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের ফসল। কিন্তু কালের বিবর্তনে সেই জমিতে পানি বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ থাকায় বর্তমানে জলাবদ্ধ হয়ে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান ডাউটিয়া গ্রামের প্রায় ৭০ বছর বয়সের কৃষক মোঃ মিনহাজ উদ্দিন। দেখা যায়, যার যার খেয়াল খুশিমতো মাটি কেটে কারখানার মালিকরা তাদের সুবিধার জন্য বাঁধ দেন। ফলে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে শত শত হেক্টর জমি পানির নিচে নিমজ্জিত। সঠিকভাবে উদ্যোগ নিলে এসব পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা হবে, কৃষকরাও তাদের জমিতে শস্য উৎপাদন করতে পারবে বলে জানান স্থানীয়রা। সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় সোমভাগ ইউনিয়ের ৭ নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক ও ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম এবং দক্ষিণ জয়পুরা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হাজী মোঃ খোয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে। তারা বলেন, মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে কলকারখানা ও জমির মালিকরা তাদের খেয়াল খুশিমতো সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে পানির গতিপথ বন্ধ করে মাটি ভরাট করেছে বলে এমন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া জমির মালিকরা পানির গতিপথে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষও করছেন। শত শত হেক্টর কৃষি জমির জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা করলে এখান থেকে হাজার টন সরিষা ও ধান উৎপাদন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। এ প্রসঙ্গে সোমভাগ ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক আওলাদ হোসেন বলেন, স্থানীয় কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি পানি নিষ্কাসনের। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা হোক- এটা আমিও চাই। যদি সঠিক সময়ে এসব পানি বের করে দেওয়া যায়, তাহলে সহস্রাধিক কৃষক তাদের জমিতে ধান, পাট, সরিষা সঠিক সময়ে উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার আরিফুল হাসান সরেজমিনে দেখে বলেন, পানি নিষ্কাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করবো। যাতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। বার্তা প্রেরক মোঃ ফারুক হোসেন ধামরাই ঢাকা
Posted ১:০৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।