শনিবার দুপুর ২টায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের কাজিয়ার চরে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আয়োজনে অফগ্রীড এলাকায় বিদ্যুতায়নের শুভ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে ২ হাজার ১’শ জন গ্রাহকের মাঝে বিদ্যুতায়নের উদ্বোধনকালে এমপি শামীম আরও বলেন, প্রত্যন্ত এই অঞ্চলে বিদ্যুতের আলোর ন্যায় শিক্ষার প্রসার ঘটাতে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করে দেয়া হবে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে আগামী জানুয়ারিতেই যেন শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠদান করা যায় সেই ব্যবস্থা আমি শীঘ্রই করবো। সেই সাথে নদীর ভাঙ্গন ঠেকাতেও বদ্ধপরিকর থাকবো। পাশাপাশি কাপাসিয়ার এই দূর্গম এলাকায় চুরি-ডাকাতি নির্মূল করতে সর্বাত্মকভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
এজিএম এসএম সিফাত চৌধুরীর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বোর্ডের সভাপতি নূরুল ইসলাম প্রামাণিক, রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হরেন্দ্রনাথ বর্মন, সুন্দরগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মিলন কুমার কুন্ডু, কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান, গ্রাহক লূৎফর রহমান প্রমূখ।
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হরেন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ‘শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে এবার অফগ্রিডে থাকা তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের চর অঞ্চলের ২ হাজারের বেশি পরিবার আজ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হলো। অফগ্রিড এলাকাভুক্ত এই দূর্গম চরে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে প্রায় ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ হয়েছে। এটি আমার চাকুরী জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি মাহেন্দ্রক্ষণ। এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ দিতে পেরে পল্লী বিদ্যুৎ স্বার্থকতা অর্জন করলো। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় এলাকাবাসীও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় এটি দ্রুত করা সম্ভব হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
সভাপতির বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সরকার বলেন, ‘কাপাসিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার বিদ্যুৎ পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা তখনেই আরও আনন্দিত হবো যখন আমাদের এলাকায় নদী ভাঙ্গন থাকবেনা। শিক্ষার জন্য এই চরাঞ্চলে ভালো মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জোর দাবি জানাই। আশা রাখি এমপি মহোদয় আমাদের দাবি পূরণ করবেন। দূর্ঘম চরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলে এই এলাকা মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা পাবে।’
উল্লেখ্য, উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের কাজিয়ার চর, পোড়ার চর, কেরানির চর ও লালচামার চরে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বাস্তবায়নে ডিএনই প্রকল্পের আওতায় ৬২.৫০ কিলোমিটার লাইনে সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে ৬.৫০ কিলোমিটার নির্মান করা হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা।