অনলাইন ডেস্ক মঙ্গলবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২০
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের এক প্রতিনিধি দল গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মো. মসিউর রহমান রাঙ্গার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সাক্ষাৎকালে বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দুর্বল দিক ও এর সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। উল্লেখ্য, বিস্তারিত আলোচনার সঙ্গে মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা একমত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিভিন্নভাবে
প্রচার-প্রচারণা ও প্রদর্শনে তামাকজাত দ্রব্যের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে শিশু-কিশোর ও তরুণরা। সেই সঙ্গে বর্তমানে তরুণরা আরও বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে ই-সিগারেট বা এ ধরনের বিভিন্ন ক্ষতিকর পণ্যের প্রতি; যা স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতিসাধনসহ তরুণদের ঠেলে দিচ্ছে নেশাজাতীয় দ্রব্যের দিকে। বিনষ্টের পথে তরুণ ও আগামী প্রজন্ম এবং দেশ হারাচ্ছে আগামী ও বর্তমান কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী।
তাই তরুণ সমাজকে রক্ষা করতে বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন প্রয়োজন। বিক্রয় কেন্দ্রে সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শন বন্ধ করা, ই-সিগারেট বা এ ধরনের পণ্য বাংলাদেশে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকে তামাক ব্যবহারের স্বাস্থ্য ক্ষতি সম্পর্কে উল্লেখ থাকা প্রয়োজন।
অপরদিকে তামাক চাষ বন্ধ ও এ ধরনের পেশা পরিবর্তনে সরকারকে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে করে তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন ও বিপণনে সবাই নিরুৎসাহিত হয়।
তিনি আরও বলেন, এখনই সময় জরুরিভিত্তিতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিশ্চয়তা প্রদান করা। তিনি আশ্বাস প্রদান করেন যে, সংসদে বা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করবেন।
সংসদ সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের প্রজেক্ট ম্যানেজার, পুষ্টিবিদ ও ডায়েট কনসালটেন্ট মাহ্ফিদা দীনা রুবাইয়া, তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের মিডিয়া ম্যানেজার মোহাম্মদ রুবায়েত এবং সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন রহমান, প্রকল্প কর্মকর্তা অদুত রহমান ইমন। সাক্ষাৎকালে ঢাকা আহ্্ছানিয়া মিশনের পক্ষ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনবিষয়ক তথ্যপত্র ও প্রস্তাবনাসমূহ হস্তান্তর করা হয়। প্রস্তাবনাসমূহ হলো ক) গণপরিবহন ও রেস্তোরাঁয় শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণে এসব স্থানে স্মোকিং জোন নিষিদ্ধ করা; খ) বিক্রয় কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; গ) ই-সিগারেটের মতো ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট আমদানি, বাজারজাতকরণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা; ঘ) বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা এবং প্যাকেটবিহীন জর্দা-গুল বিক্রয় নিষিদ্ধ করা; ঙ) তামাক কোম্পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’ বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা; এবং চ) সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্ক বার্তার আকার বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীতকরণ এবং প্লেইন প্যাকেজিং প্রবর্তনের জন্য সবধরনের তামাকজাত দ্রব্যের প্রমিত মোড়ক প্রচলন করা প্রভৃতি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ সময়: ৩:৪৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২০
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel