রাজশাহীর তানোরে মধ্যেযুগীয় কায়দায় মরিচ গুঁড়ো চোখে মুখে ও যৌনাঙ্গে দিয়ে মহিলাকে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এঘটনায় তিনদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মামলা নেয়নি তানোর থানা পুলিশ। এতে করে প্রভাবশালীদের ভয়ে মেডিকেল থেকে বাড়ি যেতে পারছেন না নির্যাতিত নারীর পরিবার। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, চলতি মাসের (১৯ জুন) শনিবার উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির ধুবইল সাহাপুর গ্রামে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাহাপুর গ্রামের প্রভাবশালী দুরুল পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশী সাঈদের প্রায় ২০/২৫টি মত ফলজ গাছ কেটে ফেলেন। এতে করে সাঈদের স্ত্রী মনের ক্ষোভে বকাবকি করলে প্রভাবশালী দুরুল, বকুল খালেক নাসির ও তানিয়া বাড়ি থেকে বের হয়ে এসে কোন কথা ছাড়াই সাঈদের স্ত্রীকে বলে তুই আমাদের গালাগালি করছিস কেন বলেই মারপিট শুরু করেন তাঁরা। মারপিটের একপর্যায়ে দুরুল বকুল ও তানিয়া বাড়ি থেকে গুঁড়ো মরিচ এনে সাঈদের স্ত্রীকে চোখে মুখে ও যৌনাঙ্গে জোর করে ছিটিয়ে দেয় তাঁরা।
এতে সাঈদের স্ত্রী চিতকার দিতে শুরু করলে প্রতিবেশীরা দৌড়ে আসলে প্রভাবশালীরা সাঈদের স্ত্রীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। এসময় ঘটনাস্থলে সাঈদের স্ত্রী জ্ঞানশুন্য হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান। অন্যদিকে এমন জঘন্য ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি তানোর থানা পুলিশ বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিত সাঈদের স্ত্রী। পাষবিক নির্যাতিত জৈনেক নারী বলেন, প্রায় একসপ্তাহ ধরে প্রতিবেশী প্রভাবশালী দুরুল ও তার ছেলে মেয়ে, জামাই বিভিন্ন ভাবে আমাদের শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছেন। ফলে বাধ্য হয়ে ২০জুন শনিবার তানোর থানায় তিন জনসহ অজ্ঞাত নামা আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন সাঈদের স্ত্রী। তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাকিবুল হাসান রাকিব জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।