
| রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট
রাজধানীতে ৫ আগস্টের পর থেকে আজ অবধি ১৭৮ দিনে আন্দোলন হয়েছে ১৩৭টি। এসব আন্দোলনে আন্দোলনকারীরা নিজের বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার দাবি করে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন এবং ঘেরাও করা হয় সরকারি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
এসব আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকা। এমনও দিন আছে যেদিন ১ দিনে ১৭ টি স্পটে অবরোধ দেওয়া হয়। রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতামত, এতদিন যারা সুবিধাবঞ্চিত ছিলেন তারা এখন দ্রুত দাবি আদায়ের চেষ্টায় নেমেছেন।
সচিবালয় ঘেরাও করে ১৯ আগস্টের আন্দোলন ছিল ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় স্থগিত এইচএসসি পরিক্ষাগুলো না দিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে ফল প্রকাশের দাবিতে। এর বিপরীতে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতেও আন্দোলন হয়৷ পরে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়েই ফল প্রকাশ হয়। তাতে যারা পাশ করেননি তারাও নামে আন্দোলনে, ঘেরাও করেন শিক্ষাবোর্ড।
১৯ আগস্ট রাজধানীর ১৭ টি পয়েন্টে চলে নানা দাবিতে অবরোধ, আন্দোলন। কারো দাবি চাকুরি স্থায়ীকরণ, কেউ চায়, বদলি, নিয়োগসহ নানা ইস্যু।
প্যাডেলচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলন চলে টানা ৯ দিন। দিনের বিভিন্ন সময় সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট অবরোধ করেন। অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুর দিকেই আন্দোলনে নামে আনসারের সদস্যরা। ২৫ আগস্ট সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ করে রাখে সচিবালয়।রাজপথের আন্দোলনই নয়, এতদিনের বঞ্চিত বলে দাবি-দাওয়া আদায়ে অবস্থান, অনশন হয় সচিবালয়সহ সরকারি অফিসেও।
বাদ যাননি ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তারাও। নতুন বছরের শুরুর ২৮ দিনেই আন্দোলন হয়েছে ৪০ টি। আন্দোলন হয় ৪৩ বিসিএসে বাদ পড়াদের, ৪০ তম এসআই ব্যাচের অব্যাহতিপ্রাপ্তদের, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের দাবিতে, পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী শব্দকে ঘিরে আন্দোলন সংঘর্ষ হয় ৪ দিন।এছাড়াও বিডিআর সদস্যদের পরিবার, ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের আন্দোলনও হয়েছে এই মাসেই। এছাড়াও মঙ্গলবার সারাদেশর ট্রেন যোগাযোগই বন্ধ করে দেয় রানিং স্টাফরা।
Posted ৯:৫৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
dainikbanglarnabokantha.com | Fahim Farhan
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।