
শরীফ আহমেদ, প্রতিবেদনঃ | বৃহস্পতিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৬৫ নং ওয়ার্ডে মশার উপদ্রবে এখন শীত ও বর্ষা আর গরম নাই! বছরে ১২ মাসের মশার উপদ্রবে অতিষ্ট স্হানীয় ডিএসসিসি ৬৫ নং ওয়ার্ড এলাকাবাসী!
এমন অবস্থা হয়েছে যে, সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে মশার জন্য এক মিনিট স্থির হয়ে আপনি কোথাও দাঁড়াতে পারবেন না! হঠাৎ করে মশার প্রকোপ বাড়ার পেছনে ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ওষুধ ছিটানো ঝিমিয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন নগর পরিকল্পনা বিদরা। সঠিক ঔষধ না দেওয়াতে মশার বংশ বিস্তার হচ্ছে। তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন বলছে, মশার ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েনি। মশক নিধন কর্মীরা প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়মিত ওষুধ ছিটাচ্ছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে বস্তি নিম্মান্চল এলাকা থেকে শুরু করে অভিজাত এলাকায় মশার উপদ্রব ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। স্হানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে মশার কাঁমড়ে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রোগী ভর্তি আছে। মশার কাঁমড়ে কারণে কিউলেক্স নিয়ন্ত্রণে চাহিদার তুলনায় মশক নিধন কার্যক্রম বিশেষ ভাবে দৃশ্যমান নয়। ডেঙ্গু মশার উপদ্রবে বাসাবাড়ি, অফিস,স্কুল কলেজ,বাজার, উন্মুক্ত স্থান, সড়ক, পার্ক, খেলার মাঠ সর্বত্রই এখন মশার রাজত্ব। মশার প্রকোপ কমাতে দ্রুতই জোঁরে শোরে মাঠে নামতে হবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে। আর যেসব খাল-নর্দমা অপরিষ্কার রয়েছে, সেগুলো দ্রুত পরিষ্কার এবং ওষুধ ছিটানোর কাজে আরও গতি আনতে হবে। এ মুহূর্তে মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে আগামীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরো বাড়ার আশংকা রয়েছে।
রাজধানীবাসী বলছেন, কিছুদিন ধরে মশার প্রকোপ কয়েকগুণ বেড়েছে। নগরী হাসপাতালগুলোতেনএকিউলেক্স মশার পাশাপাশি এডিস মশার ডেঙ্গু মশার কাঁমড়ে আতঙ্কে রয়েছি। যখন কোনো মশা কাঁমড় দেয়, তখন কোনটি ডেঙ্গু কোনটি এডিস আর কোনটি কিউলেক্স— তা শনাক্ত করা সম্ভব নয়। মশার অতিরিক্ত উপদ্রবে ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন আছেন স্হানীয় এলাকাবাসী।
এ থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত ঘরের ভেতর মশারি টাঙিয়ে, কয়েল জ্বালিয়ে কিংবা মশা তাড়ানোর স্প্রে ব্যবহার করতে হচ্ছে। মশার কামড়ে দাঁড়িয়ে বা বসে দু-এক মিনিট কথা বলার মতো পরিস্থিতি নাই। যেখানেই যাই, সেখানেই মশা। এমনকি মশার উপদ্রব থেকে রেহাই পেতে পুরো মাতুয়াইল এলাকায় দিনের বেলায়ও মশারি টাঙিয়ে ঘরে বসে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে অনেক পরিবারকে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৬৫ ওয়ার্ডটি আলী মোহাম্মদ খান রোড, আদর্শবাগ,মোমেনবাগ,আড়াবাড়ী, রহমতপুর, মধুবাগ, মুসলিমনগর, মোগলনগর, খুৃ্ঁরিয়াপাড়া, কেরানীপাড়া,হাজী বাদশা মিয়া রোড, ভূঁইয়াবাড়ী, খাঁনবাড়ী,মাতুয়াইল দক্ষিণ পাড়া,রায়েরবাগ, হাশেম রোড,রায়েরবাগ খানকা,মাতুয়াইল মেডিক্যাল ও সাদ্দাম মার্কেট নিয়ে গঠিত ডিএসসিসি ৬৫ নং ওয়ার্ড।
এ ওয়ার্ডে মশার উপদ্রবে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে
পড়েছে। শুধু ডিএসসিসি ৬৫ নং ওয়ার্ডই মশার উপদ্রব তা নয়……!
ডিএসসিসির আশে পাশে ওয়ার্ড গুলোতে মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্হানীয় বাসিন্দারা। এ বিষয়ে ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সামসুদ্দিন ভূঁইয়া বাংলার নবকন্ঠ কে বলেন, আমার ৬৫ নং ওয়ার্ডে হঠাৎ মশার উপদ্রব বেড়েছে।আমি আমার লোকজন দিয়ে প্রতিদিন নিয়মিত ওষুধ ছিটালেও মশা কমছে না।
ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের ৬৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সামসুদ্দিন ভুঁইয়া সেন্টু বাংলার নবকন্ঠকে আরো বলেন, মশার যন্ত্রণায় এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। আমি নিজেও মশার উপদ্রবে বাসার দরজা জানালা খুলতে পারি নাহ! মশা নিধনে প্রতিদিন ফগার মেশিনম্যান সহ শিডিউল অনুযায়ী মশার ঔষধ ছিটানো জন্য নামিয়ে দেওয়া হয়,স্হানীয় বাসিন্দা বলেন,আমাদের ৬৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আন্তরিকতা কমতি নাই,কিন্তুু ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন থেকে মশার মারা ঔষুদ টা যদি সঠিকতা দিতো তাহলে মশা মারা যেতো। আর মশা মারার জন্য যেসব ওষুধ ছিঁটানো হচ্ছে,এর মধ্যে কখনো ঔষুধ ভালো আসে, আবার কখনো ঔষুধে কাজ করে না। ডিএসসিসি ৬৫ নং ওয়ার্ডে ড্রেন, নর্দমা, ঝোঁপঝাড় এবং যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থাকায় ডিএসসিসি ৬৫ নং ওয়ার্ডের মশার উপদ্রব বেশি বলে মনে করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন-সংশ্লিষ্টরা কর্মকর্তারা।
Posted ২:২৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২২
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।