রমজান মাসের শুরু থেকেই চুরি, ছিনতাই এবং ডাকাতি রোধে নওগাঁ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তার ই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন থেকে নওগাঁসহ আশেপাশের কয়েকটি জেলার অপরাধীদের চলাচলের উপর নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

রোজ বুধবার ১৯/০৩/২০২৫ ইং তারিখ গভীর রাতে নওগাঁ জেলা পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, আন্তঃজেলা ডাকাত দলের একটি টিম নওগাঁয় ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে এসেছে।

এ তথ্যের ভিত্তিতে নওগাঁ জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বিপিএম এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় জেলার সকল রাস্তায় চেকপোস্ট বসানো হয় এবং একপর্যায়ে রাত ২ টার দিকে মহাদেবপুর থানার এনায়েতপুর এলাকায় একটি ট্রাকে করে ডাকাতদল অবস্থান করছে এরূপ তথ্যের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন ও অর্থ, মোঃ গাজিউর রহমান পিপিএম(পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) এর নেতৃত্বে সকল থানার অফিসার ইনচার্জের সমন্বয়ে তাদের একধিক টিমসহ তাদের পিছু ধাওয়া করে।

ডাকাত দলটিকে আটকানোর জন্য মহাদেবপুর, পত্নীতলা, নওহাটা মোড়, বলিহার, সুতিহাট, মাতাজিহাট, বদলগাছি, জলিল চত্বর, বাইপাস রেলক্রসিং সহ সকল পথে শক্ত বেরিকেড দেয়া হয়। নওগাঁর মহাদেবপুর থানার নওহাটা মোড়ে কয়েকটি বালু বোঝাই ড্রাম ট্রাক ও মাল বোঝাই ট্রাক দিয়ে পুরো রাস্তা ব্লক করে দেয়া হয়। ডাকাত দলটি বেপরোয়াভাবে দ্রুত গতিতে ট্রাক চালিয়ে রাস্তার পাশের দোকানঘর ও ইলেক্ট্রিক পুল ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

এরপর সদরের জলিল চত্বরে আরেকটি শক্ত বেরিকেড দেয়া হয়। ডাকাত দল সেটিও ভেঙে ১১০/১২০ কিমি বেগে বগুড়ার দিকে পালাতে থাকাকালীন রাত সাড়ে তিন টায় নওগাঁ বগুড়া বাইপাস হাইওয়ের বাইপাস ব্রীজের আধা কিলোমিটার পূর্বে শিবপুর নামক স্থানে ডাকাতদের ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে আহত অবস্থায় ৩ জন ডাকাতকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
বাকিরা ধান ক্ষেতের ভিতর দিয়ে পালিয়ে যায়।

আহত ডাকাতদের চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। উল্টে যাওয়া ট্রাক থেকে একটি চোরাই গরু এবং ২টি চোরাই ছাগল উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গরু-ছাগল চুরি ও ডাকাতি চেষ্টার ঘটনায় মহাদেবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।