শেরপুর প্রতিনিধিঃ | শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ | পড়া হয়েছে 22 বার
জাল দলিলের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন হতদরিদ্র অসহায় পাঁচ পরিবার। জাল দলিলে জমি দখলের অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা করেও হয়রানীর শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। সম্প্রতি একের পর এক জমি জবর দখলের বিষয়টি নিয়ে এলাকাতেও চাউর হয়ে ওঠেছে। অবশেষে এ অভিযোগ তুলেছেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হলদি গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর ছেলে শামসুদ্দিন খোকন, মৃত লাল মিয়ার ছেলে আমিনুল ইসলাম, জবর দখলকারী আব্দুল বাতেনের স্ত্রীর বড় দুই বোন জয়গণ বেগম, শারমিন বেগম ও আনোয়ার হোসেন। বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থার দাবী ভুক্তভোগী পাঁচ অসহায় পরিবার সহ স্থানীয়দের।
ঝিনাইগাতী উপজেলার হলদি গ্রাম মৌজায় বিআরএস রেকর্ড মূলে জানা যায়, ২৪০ খতিয়ানের আরওআর ২০৩, বিআরএস ৬১০, ৬১১, ৬১৩, ৬১৪, ৬১৫, ৬১৬, ৬১৭, ৬১৮ নং দাগে ২ একর ৬ শতাংশ জমি। এর মধ্যে অভিযোগ ওঠে ১ একর ৩ শতাংশ জমির। এই জমি জাল দলিল সৃষ্টি করে জবর দখল করেছেন মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর গাড়ী চালক আব্দুল বাতেন। যার দলিল নং ১৪৭৪। দলিল সম্পাদনের তারিখ ২০/০২/১৯৬২ ইং। শুধু তাই নয় আব্দুল বাতেন এর পার্শ্ববর্তী সরকারিভাবে আবাসন প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত ১ নং খাস খতিয়ানের ৫০ শতাংশ জমি। এটি জাল দলিল সৃষ্টির মাধ্যমে আদালতে মামলা দায়ের করে জবর দখল করেছেন। এতে আটকে যায় হতদরিদ্রদের জন্যে নির্ধারিত জমিতে গৃহনির্মাণ। যার দলিল নং ৬৪ (০৭-০১-১৯৬৪)। মামলা নং ১৮/২০২১ অন্য প্রকার। অপর মামলা নং ৩৭/২০২১। বর্তমানে মামলা দুটি বিচারাধীন। যার আপিল নং ৩৮/ ২০২১।
ভুক্তভোগি শামসুদ্দিন খোকন, জয়গণ বেগম, শারমিনা বেগম, আমিনুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন জানান, ওই জমির ৪০ শতাংশ ছিল জয়গণ বেগম ও শারমিনার বাবার ভোগ দখলে। এমনকি রেকর্ডও তার নামে। অথচ এটিও জাল দলিলের মাধ্যমে জবর দখল করেছেন।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, বিষয়টি স্থানীয় মাতাব্বর, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন অবগত। কিন্তু তাকে বার বার বলেও জবর দখলকৃত জমি উদ্ধার করতে পারেনি। এ জন্য আমরা আদালতের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছি। আমরা চাই দ্রুত এর বিচার হোক।
এ ব্যাপারে আব্দুল বাতেন বলেন, এটি আমার ক্রয়কৃত জমি। তাছাড়া এ ব্যাপারে আদালতে মামলা আছে। আদালত যে রায় দিবে তা মাথা পেতে নিবো।
এ প্রসঙ্গে, জেলা রেজিস্ট্রার মো: হেলাল উদ্দীন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা যায়, দলিলের অনুলিপি জাল। কোন চক্র হয়তবা এই নকল কিংবা ভূয়া দলিল তৈরি করতে পারে। তবে এ ব্যাপারে তদন্ত না করে কিছুই বলা যাবে না। তিনি আরো বলেন, আমরা এমন চক্রকে ধরার জন্য সিসি ক্যামারা লাগিয়েছি। রেকডরুম নজরদারিতে রেখেছি। কেউ এমন কাজ করলে তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে ।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৩৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel