জামালপুর পৌর নাগরিকদের সুবিধার্থে জরুরি ‘হ্যালো মেয়র’ ফ্রী এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করেছে জামালপুর পৌরসভা। এই এ্যাম্বুলেন্সটি ২৪ ঘন্টা সেবা দেবে পৌরসভার ‘হ্যালো মেয়র’ টিম। সেই সাথে করোনা আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থাও করবে ওই টিম।
সোমবার সকালে ‘হ্যালো মেয়র’ এ্যাম্বুলেন্স সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি।
‘হ্যালো মেয়র’ ফ্রী এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ। এ সময় পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ‘হ্যালো মেয়র’ ফ্রী এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সেবা ছাড়াও ওই টিম থেকে হোম আইসোলেশনে থাকা করোনা আক্রান্ত পৌর নাগরিকদের অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করা হবে।
পৌর মেয়র মো. ছানোয়ার হোসেন ছানু বলেন, দলের নিবেদিত কর্মীদের নিয়ে এই ‘হ্যালো মেয়র’ টিম গঠিত হয়েছে। তারা ওই টিম থেকে সার্বক্ষণিক জরুরি সেবা দেবে পৌরবাসীদের। ওই টিমে কাজ করবেন জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসকরা। তারা রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পরামর্শ দেবেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, নাগরিক সুবিধা জোরদার ও জরুরি সেবাদানের লক্ষ্যে পৌর মেয়রকে ‘হ্যালো মেয়র’ টিমের পরামর্শ দেই। মেয়র অতি দ্রুত তা বাস্তবায়ন করে পৌরবাসীর সুনাম কুড়িয়েছেন। আজ এই টিমে জরুরি সেবাদানের জন্য যুক্ত হলো একটি ‘হ্যালো মেয়র’ ফ্রী এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। পৌরবাসী এর সুফল ভোগ করবেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেন, একজন পৌর মেয়রের একটি গুণই যথেষ্ট। সেটা হলো সৎ থাকা। মেয়র ইতোমধ্যেই তার নির্বাচনী ওয়াদা পূরণে দিনরাত কাজ করছেন। সেই সাথে পৌরবাসীকে সকল নাগরিক সুবিধা দিতে তার অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছে যা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত অবগত হয়েছেন। জামালপুর পৌরসভার এই ‘হ্যালো মেয়র’ টিম দেশের ভেতর একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বলেও জানান তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ‘হ্যালো মেয়র’ ফ্রী এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের চাবি হস্থান্তর করা হয়।