
আল মাসুদ লিটন জামালপুর জেলা- প্রতিনিধি | বুধবার, ০১ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার অন্তর্গত ৪ নং আওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ বিল্লাল হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক, বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক তারাকান্দি মালিক সমিতির সভাপতি, সাবেক জগন্নাথ গন্ঞ্জ ঘাট নৌ মালিক সমিতির সভাপতি, সাবেক বাটিকামারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি এবং বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের টানা তিন(৩) বারের চেয়ারম্যান।
তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব,যথেষ্ট প্রভাব প্রতিপত্তি সম্পন্ন মানুষ।যথেষ্ট বয়োজ্যেষ্ঠ বটে।সেই সুবাদে উক্ত ইউনিয়নের যেনোতেনো লোক তার দিকে আঙ্গুল তুলে কথা বলার সাহস সহজে পায় না। কিন্তু কথায় আছে “যদি হয় সুজন, তেঁতুল পাতায় নয় জন” উক্ত ইউনিয়নের বার বার দায়িত্ব পালন কালে চেয়ারম্যান হিসেবে মোটেও জনবান্ধব চেয়ারম্যান হয়ে উঠতে পারেন নি। সর্বসাধারণের অভিযোগ তিনি নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছেন দিনের পর দিন।
বিগত টার্মে সরকার কর্তৃক এতোটা সুবিধা প্রদাণ করা হয়নি,তাই জনসাধারণের সরকার কর্তৃক কি কি সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে তা নিয়ে মাথা ব্যথা ছিলো না।
সাত(৭) বছরের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশ সরকার, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশের মানুষের জন্য, সর্বসাধারণের জন্য অসংখ্য সুবিধা বিনামূল্যে প্রদান করে আসছেন। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন সব ক্ষেত্রেই সমপরিমাণে সরকার ঘোষিত সকল সুবিধা গণহারে বন্টন করার যথেষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে।এতো কিছুর মধ্যে দিয়েও স্ব স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্ব পাওয়া প্রতিনিধি গণ বিনা কারণে নিজ ক্ষমতার জোরে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে সরকারি সুবিধা গুলো যারা প্রাপ্য না তাদের প্রদান করছেন।
স্বনামধন্য চেয়ারম্যান নামধারী বীর মুক্তিযোদ্ধা নামের কলঙ্ক জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের সার্টিফিকেট প্রাপ্য অযোগ্য একজন মানুষ মোঃ বিল্লাল হোসেন।তার ইউনিয়নে অসংখ্য মানুষ সুবিধা বঞ্চিত।স্বামী থাকতেও শিলা,রাশি নামক অনেক স্বচ্ছল মহিলারা বিধবা ভাতা পাচ্ছে। গর্ভে সন্তান নাই অথবা বিগত ছয়,সাত মাস আগেই বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয়েছে এমন অসংখ্য মহিলারা গর্ভকালীন ভাতা পাচ্ছে।
ইতোমধ্যেই চেয়ারম্যান”উনার সাথে এলাকার সচেতন মহল এ বিষয়ে আলোচনা করেছে, চেয়ারম্যান স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে আমি নৌকা মার্কায় বিজয়ী হয়েই পরিষদে বসেছি, আমার ন্যায় অন্যায় বিচার করার ক্ষমতা কারোর নাই। পাবলিক আমাকে টাকা দিয়েছে আমি নিয়ে বিভিন্ন কার্ড করে দিয়েছি, সামনের সময়েও এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। চেয়ারম্যান হিসেবে তার আচরণ কথাবার্তা মোটেও সন্তুষ্ট জনক নয় বলে এলাকাবাসীর দাবি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির বক্তব্য হলো এমন “আমরা নৌকায় ভোট দেই বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে,কোনো ব্যক্তি পরিচয়ে নৌকায় ভোট দেই না, চেয়ারম্যানের এমন খামখেয়ালি অবস্থার মধ্যে দিয়ে যদি ইউনিয়ন পরিষদ চলতে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে নৌকার ভরাডুবি চেয়ারম্যানের এ সমস্ত কার্যকলাপের জন্যই হবে। একজন এলাকার মাথা হিসেবে উনি কারোর কোনো কিছুই তোয়াক্কা করেন না বলে স্বজ্জন ব্যক্তিত্বদের দাবি।
সর্বোপরি সকলের সুবিধা অসুবিধার কথা মাথায় রেখে, সঠিক সম পরিমাণে আসল ভুক্তভোগীদের মধ্যে সরকারের তরফ থেকে যত ধরনের সুবিধা আছে তা বন্টন এবং চেয়ারম্যানের উপর অর্পিত যে দায়িত্ব তা সঠিক পদ্ধতিতে পালন করার জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার ভুক্তভোগীরা।
Posted ৬:১৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০১ মার্চ ২০২৩
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।