শুক্রবার ২১ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

>>

জমিজমার বিরোধ কে কেন্দ্র করে মারামারি- অতঃপর মৃত্যুর অভিযোগ

মোঃ আল আমিনঃ   |   সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪   |   প্রিন্ট


দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এর বাস্তা ইউনিয়ন এর দড়িগাঁও বটতলীর মোঃ মহসিন এর ছেলে মোঃ হজরত আলীর আঘাতে ছোট ভাই মোঃ নুরুল ইসলামের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া যায়।

তথ্য সুত্রে জানা যায় মোঃ মহসিন এর সাত ছেলের মধ্যে মৃত নুরুল ইসলাম (৪৬) পঞ্চম নম্বরে, তার ২য় নম্বর ভাই হজরত আলীর সাথে দীর্ঘ দিন জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলতে ছিল। সর্বশেষ গত ২৮ জুলাই সকালে জমিতে গাছ লাগানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয় পরবর্তীতে সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে সাতটার সময় নুরুল ইসলাম কে তার বড় ভাই বাসা থেকে ডেকে নিয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় তার ভাই,ভাবি ও তার দুই ভাতিজী মিলে মারধর শুরু করলে তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য ডাক চিৎকার করলে বাসা থেকে তার স্ত্রী ও মেয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে এবং তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ও মাথায় ক্ষত-বিক্ষত হওয়ায় তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং ওই দিনে দক্ষিন কেরানিগঞ্জ থানায় বড় ভাই হজরত আলী (৬৫) ও ভাবি আকলিমা বেগম (৫২) কে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে তিনি হসপিটালে চিকিৎসা নিতে থাকলে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরেই বাসায় আসলে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তাকে হসপিটালে ভর্তি করা হলে গত ১৩ জুলাই ২০২৪ তারিখ রাত ১১.৩০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন।
অনুসন্ধানে জানতে গেলে মৃত নুরুল ইসলামের পিতা মোঃ মহসিন খলীফা বলেন, আমার সাতটি সন্তানই আমার কাছে সমান ওরা জমি নিয়ে বিরোধ করলে আমি সবাইকে ঝগড়া বিভাদ করতে বাড়ন করি।আমার মোট সম্পতি হলো ২৬ শতাংশ এরমধ্যে বাড়িতে ১৯ শতক ও বাড়ির বাহিরে ০৭ শতক এই ১৯ শতকের মধ্যে আমার ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কারণে আমি পাঁচ শতক বিক্রয় করি। বাকি ১৪ শতক আমি আমার সাত ছেলেকে ২ শতাংশ করে বুঝিয়ে দেই। এদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ থাকার কোন কথাই না। আমি জীবিত থাকা অবস্থায় আমার সন্তানরা জমি বিরোধ নিয়ে ঝগড়া বিবাদ ও মারামারি করে এটা খুবই দুঃখজনক। তার ছেলে মারা যাওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন বাবুরে আমায় বয়স হয়েছে এই সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারবো না।

মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী কে আমার বাসুর, বাসুরের বউ ও মেয়েরা মিলে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে এবং প্রচুর পরিমাণ মাথায় আঘাত করতে থাকেন। আমার স্বামীর ডাক চিৎকার শুনে আমি ও আমার মেয়ে সুমাইয়া দৌড়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে আমার স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। তার মাথায় অত্যাধিক পরিমাণে আঘাত থাকায় রক্ত জমাট হয়ে সকল মাথায় এফেক্ট করলে তিনি মারা যান। আমি আমার স্বামীর হত্যার বিচার দাবি করছি এবং আমার মেয়েদের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে পরেছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি আমি যেন আমার স্বামী হত্যার সঠিক বিচার পাই।

Facebook Comments Box

Posted ৭:২১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১১ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬, ০২ ৪১০৫০৫৯৮

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com

nilüfer escort coin master free spins