| সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট
নবকন্ঠ ডেস্ক: আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসা চাঁদে আবার মানুষ নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। দু হাজার ৮০০ কোটি ডলারের এই প্রকল্পে ২০২৪ সালের মধ্যে আবার চাঁদে যাবার পরিকল্পনা দেয়া হয়েছে। এই মিশনের অংশ হিসাবে এই প্রথমবারের মত একজন নারী চাঁদের বুকে পা রাখবেন। নাসার এই প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে আর্টেমিস।
১৯৭২ সালে চাঁদের বুকে মানুষের প্রথম অবতরণের পর এবার এই প্রকল্পে নাসা একজন পুরুষ এবং একজন নারীকে চাঁদে পাঠাবে। তবে নাসা বলছে তারা যে পরিকল্পিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে তা ঠিক রাখতে হলে কংগ্রেসকে ৩২০ কোটি ডলারের তহবিল তাদের হাতে সময়মত তুলে দিতে হবে, কারণ নির্ধারিত সময়ে চাঁদের বুকে নামতে হলে তাদের সময়মত একটা অবতরণ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। নভোচারীরা অ্যাপোলোর মত একটি ক্যাপসুলে ভ্রমণ করবেন, যেটির নাম দেয়া হয়েছে ওরিয়ন। এসএলএস নামে একটি রকেট এটি উৎক্ষেপণ করবে।
সোমবার নাসার একজন প্রশাসক জিম ব্রাইডেনস্টাইন বলেন, চাঁদের বুকে আর্টেমিস অবতরণের জন্য আগামী চার বছরে নাসার ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ বিলিয়ন ডলার। এই আর্টেমিস প্রকল্পের বাজেটের মধ্যে যেসব খরচ ধরা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে এসএলএস উৎক্ষেপণের খরচ, ওরিয়ন বাবদ সব ব্যয়, এছাড়াও চাঁদে মানুষের নামার খরচ এবং নভোচারীদের মহাকাশ স্যুটের জন্য যাবতীয় খরচ।
আমেরিকার হাউস অফ রিপ্রেজেনটিটিভ চাঁদে অবতরণের যান তৈরির জন্য ৬০ কোটি ডলার অনুমোদন করে ইতোমধ্যেই একটি বিল পাশ করেছে। কিন্তু নভোযানটি পুরোপুরি তৈরি করতে নাসার আরও বেশি অর্থের প্রয়োজন। চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রশিক্ষণ শেষ করে নাসায় যোগ দিয়েছেন নির্বাচিত নারী নভোচারীরা। তবে যোগ্যতার জন্য যেসব মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয়েছে, আগামী চার বছরের মধ্যে সেগুলো অর্জন করে মিশনের জন্য তারা তৈরি হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে এখনো প্রশ্ন রয়েছে। আর্টেমিসের জন্য নভোচারী নির্বাচনের সময়সূচি জানতে চাওয়া হলে নাসার প্রধান বলেছেন প্রথম মিশনটি পাঠানোর অন্তত দুবছর আগে তারা নভোচারীদের দলটি নির্বাচন করতে চান।
হোয়াইট হাউসও চাঁদে আবার নভোচারী পাঠাতে আগ্রহী, কারণ আমেরিকা চায় মহাকাশ চারণায় তাদের নেতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে। নাসা পরিকল্পনা করছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যে বরফ-পানি জমে রয়েছে, সেই মূল্যবান নমুনা সংগ্রহ করে আনা। এটা থেকে চাঁদেই স্বল্প খরচে রকেটের জন্য জ্বালানি তৈরি করা সম্ভব হতে পারে। এটা করা গেলে পৃথিবী থেকে রকেটের জন্য জ্বালানি বহন করে নিয়ে যেতে হবে না এবং এটা চান্দ্র অর্থনীতির একটা ভিত তৈরি করবে।
তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স চীনের মহাকাশ উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে পূর্ব এশিয়ান পরাশক্তি চীন প্রথম চাঁদের বেশ ভেতরের দিকে একটি রোবট চালিত রোভার যান বেশ স্বচ্ছন্দভাবে অবতরণ করেছিল। চীন এখন পৃথিবীর গবেষণাগারে চাঁদের মাটির নমুনা পৌঁছে দেবার জন্য তাদের প্রথম মিশন পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
Posted ১২:৫৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।