টিএমএ হাসান সিরাজগঞ্জ: ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী একটি চলন্ত ট্রাকে মানসিক ভারসাম্যহীন (২৫) এক যুবতীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ট্রাকটির (বগুড়া ট-১১-২৫১৬) চালক ও হেলপার মিলে ধর্ষণ করেছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। এক যুবকের ৯৯৯-এ কলের প্রেক্ষিতে সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে সিরাজগঞ্জ পুলিশ। এসময় ট্রাকসহ চালক ও হেলপারকে আটক করে বঙ্গবন্ধু পশ্চিম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসাদ্দেক হোসেন ও কড্ডা এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট আমির। তবে অভিযুক্ত চালক-হেলপারের নাম পরিচয় দিতে সময় লাগবে বলে জানান ওসি। ধর্ষিতার বাড়ি সিরাজগঞ্জে বলেও নিশ্চিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুন) সন্ধ্যার পরে কড্ডা এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধারের পাশাপাশি চালক-হেলপার সহ ট্রাকটিকে আটক করা হয়। ঘটনার বিবরনে সার্জেন্ট আমির বলেন, উত্তরবঙ্গগামী একটি ট্রাক চন্দ্রা এলাকা থেকে দুইজন ছেলেকে উঠানোর পরে একজন ব্যাক্তি ২৫বছরের একটি মেয়েকে ট্রাকটিতে উঠিয়ে দিয়ে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা নামিয়ে দিতে বলেন। পাশাপাশি মেয়েটির একটু মানসিক সমস্যা আছে বলেও তাদের জানানো হয়। এসময় ট্রাকের স্টাফরা মেয়েটিকে ট্রাকের সামনের আসনেই বসতে দেয়। পথিমধ্যে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা এলাকায় এসে ট্রাকটি বিরতি দিয়ে ট্রাকের উপরে থাকা দুজন যাত্রীকে কোনও কাজ থাকলে সেড়ে নিতে বলেন চালক। তারা নামতেই একটি ছেলে ট্রাকটির লুকিং গ্লাসে খেয়াল করে দেখেন ট্রাকের চালক ও হেলপার মেয়েটির সঙ্গে খারাপ কিছু করার চেষ্টা করছে। তখন ছেলেটি এঘটনা ভিডিও করার চেষ্টা করলে ট্রাকের চালক তাদের ফেলেই তাদের ব্যাগসহ ট্রাকটি নিয়ে দ্রুত চলে আসেন। তখন ছেলেটি ৯৯৯-এ কল দিয়ে বিষয়টি জানালে তারা সিরাজগঞ্জ পুলিশসহ ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশকে ট্রাকের নাম্বারটি সহ আটকের জন্য বলেন। পরে এরই প্রেক্ষিতে সিরাজগঞ্জের কড্ডা এলাকায় ট্রাকটি আটক করা হয়। তিনি বলেন, মেয়েটি সহ তাদের সবাইকে বঙ্গবন্ধু পশ্চিম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসাদ্দেক হোসেন ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তবে মেয়েটি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হওয়ায় সে নিজে স্পষ্টভাবে কিছু বলতে পারছেনা। নিশ্চিত হওয়ার জন্য মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। এঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে।