
ডেস্ক রিপোর্টর | শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪ | প্রিন্ট
গ্যাস সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন।এর প্রভাব পড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ প্রাত্যহিক জনজীবনে। শুধু তাই নয়, যন্ত্রাংশ অকেজো হওয়ায় ৫০ মেগাওয়াট স্ট্রিম টারবাইন ইউনিটও এখন বন্ধ। এরই মধ্যে গ্যাসের চাপ বাড়াতে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড কোম্পানিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে একদিকে গ্যাস সংকট অন্যদিকে আরেকটি ইউনিট বন্ধ থাকার কারণে দুশ্চিন্তার ভাঁজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, উৎপাদন কেন্দ্রের বিকল হয়ে পড়া যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন করা হয় প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে। এতে পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত করা হয় মূল ইউনিট। যেখানে রয়েছে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা। কিন্তু নতুন করে সৃষ্টি হয় গ্যাস সংকট। ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন।
শুধু তাই নয়, যন্ত্রাংশ অকেজো হওয়ায় ৫০ মেগাওয়াট স্ট্রিম টারবাইন ইউনিটও এখন বন্ধ। এরই মধ্যে গ্যাসের চাপ বাড়াতে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড কোম্পানিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে একদিকে গ্যাস সংকট অন্যদিকে আরেকটি ইউনিট বন্ধ থাকার কারণে দুশ্চিন্তার ভাঁজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
কেন্দ্রটির ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী নূরুল আবছার জানান, প্রথমে গ্যাস বুস্টারে ত্রুটি ধরা পড়ে। তা মেরামতে বিদেশ থেকে যন্ত্রাংশ এনে কাজ করতে করতে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যায়। তারপর ১০০ মেগাওয়াট ইউনিট চালু হলে নতুন করে আবার বেয়ারিং এ ত্রুটি দেখা দেয়। তাও সারিয়ে গত ৩ সপ্তাহ পুরোদমে এই ইউনিট চালু করা হয়। তবে এখন নতুন সমস্যা হচ্ছে, চাহিদামত গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে না। এখানে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ২৮ এমএমসিএফ গ্যাস সরবরাহ করার কথা থাকলেও বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড সরবরাহ করছে ২০-২২ এমএমসিএফ গ্যাস। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক উৎপাদন।
তিনি আরো জানান, স্ট্রিম টারবাইন ইউনিটও বন্ধ রয়েছে। বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আগামী ২ সপ্তাহ পর মেরামতের জন্য কাজ শুরু করার কথা রয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক হলে এ ইউনিট থেকে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎও জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, সবচেয়ে কম খরচে প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভর এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১২ সালের মার্চ মাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে কেন্দ্রটি। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে।
Posted ২:০৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।