
খুরশীদ আলম, গাজীপুর: | শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট
গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানাধীন ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নির্মিত হলো একটি অত্যাধুনিক মসজিদ। মেইনল্যান্ড হেড ওয়ার হোল্ডিংস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মিঃ নাগান নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি এই মসজিদটি এলাকাবাসীর ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
শুক্রবার এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মসজিদটির উদ্বোধন করা হয়।
মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী অত্যন্ত নান্দনিক ও আধুনিক। এর প্রশস্ত নামাজ কক্ষ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ, এবং অভ্যন্তরীণ কারুকার্য যে কারও দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। একইসঙ্গে মসজিদে শত শত মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদের এই বৈশিষ্ট্য স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি এনে দিয়েছে। এক স্থানীয় নামাজি ও জমি দাতা ইয়াসিন আমিন বলেন, “এত সুন্দর পরিবেশে ইবাদত করার সুযোগ আমাদের এলাকায় আগে কখনো ছিল না। এটি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেইনল্যান্ড হেড ওয়ার হোল্ডিংস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মিঃ নাগান ডেপুটি চেয়ারম্যান পোলেন নাগান ইউনিমাস স্পোর্টস ওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, শাহ শামসুল অনাম এবং গাজীপুর মহানগর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ্ব দবির উদ্দিন সরকারও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
চেয়ারম্যান মিঃ নাগান বলেন, “আল্লাহর ঘর নির্মাণের এই কাজটি করতে পেরে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। এটি এলাকার মানুষের জন্য আমার ভালোবাসা এবং দায়িত্বের নিদর্শন।” ডেপুটি চেয়ারম্যান পোলিন নাগান বলেন, “এই মসজিদটি মানুষের হৃদয়ে শান্তি এবং আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত করবে। এটি আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
মসজিদটি এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য একটি দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ। উদ্বোধনের পর থেকে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ মসজিদটি দেখতে আসছেন। এটি শুধুমাত্র নামাজের স্থান নয়; বরং ধর্মীয় জ্ঞানচর্চা, কুরআন তেলাওয়াত এবং সামাজিক সংহতির এক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, মসজিদটি ভবিষ্যতে একটি ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। ইতোমধ্যেই শিশুদের জন্য কুরআন শিক্ষা এবং ইসলামী নৈতিকতা শেখানোর ক্লাস চালুর প্রস্তাব উঠেছে।
ইসলামে মসজিদ নির্মাণকে একটি মহৎ কাজ হিসেবে গণ্য করা হয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করে দেবেন।” এই বিশ্বাস থেকেই মিঃ নাগান এই উদ্যোগ নিয়ে এলাকাবাসীর প্রশংসা অর্জন করেছেন।
কাশিমপুরের এই অত্যাধুনিক মসজিদটি এলাকাবাসীর আধ্যাত্মিক ও সামাজিক জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এটি শুধু একটি মসজিদ নয়, বরং ইসলামিক ঐতিহ্য এবং সামাজিক সংহতির এক মাইলফলক। মিঃ নাগান এই মহৎ উদ্যোগ এলাকাবাসীর হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
Posted ১২:৩৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
dainikbanglarnabokantha.com | Shanto Banik
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।