সকাল দশটায় সুন্দরগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন কলেজ শিক্ষক ও উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম বাছহাটি গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে সালমান ফারসি লেচু। সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার, সহকর্মী মেনহাজ আলী, ভাতিজা রওশন মিয়া, ওসমান গনী ও মুকুল মিয়া। এর আগে গত ৭ আগষ্ট সালমান ফারসি লিচুর বিরুদ্ধে তার প্রতিবেশি মৃত আলম মিয়ার স্ত্রী বিধবা ফাতেমা বেগম সংবাদ সম্মেলন করেন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলনে সালমান ফারসি লিচু তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিধবা নারী ফাতেমা বেওয়া যে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সমাজে আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে ওই বিধবা নারী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি আরও বলেন, তাদের জমির বিষয়ে ইতোপূর্বে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার কয়েক দফা শালিস হয়। সেখানে ওই বিধবা নারী জমির পক্ষে তিনি কোন সঠিক কাগজ পত্রাদি দেখাতে পারেননি। পরে তাঁরা শালিসের সিদ্ধান্ত মেনে নেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে তাদের বাঁশঝাড়ের বাঁশ কাটার অভিযোগ করা হয়ে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাদের নিজস্ব বাঁশঝাড় থাকতে অন্যের বাঁশঝাড়ের বাঁশ কাটার কোন প্রশ্নই উঠে না। এছাড়াও আমরা কখনো ওই নারীর বসতবাড়ির বেড়া নষ্ট করতে যাইনি। স্থানীয় বাজারে অবস্থিত তার দোকান উচ্ছেদের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কেননা ওই দোকানে এখন অবধি ফাতেমা বেওয়া মুদি দোকান পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়াও ১২ জুলাই ২১ দুপুরে বিধবা নারী ফাতেমার বসতবাড়িতে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একটি লাঠিয়াল বাহিনীসহ হামলা চালিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি একটি কল্পিত অভিযোগ। আমাদের পরিবারের কোন সদস্য ফাতেমার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করেনি, বরং তিনি এখনোও আমাদের জমির উপর দিয়ে যাতায়াত করছেন। এ থেকেই প্রতিয়মান হয় যে, ওই বিধবা নারী সংবাদ সম্মেলনে আমাদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ তুলছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমাদের সুনাম ক্ষুন্ন করতে ওই নারী এসব অভিযোগ তুলেছে। কলেজশিক্ষক সালমান ফারসি লিচু বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।