খুলনা ব্যুরো | মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
খুলনায় জাল নোট তৈরির মূলহোতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জাল নোট ও তৈরির উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে। সোম ও মঙ্গলবার নগরীর আড়ংঘাটা ও ফুলতলা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রটি বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে আরও ২০ কোটি জাল টাকা তৈরীর পরিকল্পনা করছিল।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-৬ এর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। ব্রিফিংয়ে র্যাব-৬ এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ মুস্তাক আহমেদ বলেন, গ্রেফতারকৃতরা জাল টাকা তৈরীর কারখানা বানিয়েছিল। তারা ঈদ এবং বাণিজ্য মেলাসহ বিভিন্ন উৎসবকে ঘিরে জাল টাকা তৈরি করে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিত।
গ্রেপ্তার হওয়া চক্রের সদস্যরা হল, মোঃ সাইফুল জামান ও মোঃ জাহিদুল ইসলাম।
প্রেস ব্রিফিং এ জানানো হয়, সংঘবদ্ধ একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে জাল নোট তৈরি করে দেশের বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। এমন তথ্য পেয়ে র্যাব-৬’ র একটি দল ছায়া তদন্ত শুরু করে।এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার গোপন সংবাদের মাধ্যমে তার জানতে পারে, জাল টাকা তৈরির চক্রের সদস্যরা নগরীর আড়ংঘাটা থানা এলাকায় অবস্থান করছে। এমন সংবাদ পেয়ে তারা দুপুর ১ টা ২০ মিনিটের দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা মূল্যের নগদ ১০ লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ওইদিন রাত আড়াইটার দিকে ফুলতলা উপজেলার দামোদর সাহাপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব। সেখানে তাদের ভাড়া করা বাড়ি থেকে জাল নোট তৈরির কারখানা আবিস্কার করা হয়। অভিযানের সময় সেখান থেকে আরও নগদ ৪ লাখ ৮৩ হাজার জাল নোট উদ্ধারসহ ২ টি প্রিন্টার, ১ টি মেশিন, জাল নোট তৈরির ডাইস ৭ টি, ফেবিকল আঠা ২টি, হেয়ার ড্রায়ার ১ টি, জল ছাপ সম্বলিত কাগজ ৩০০ পিচ, কালার ফুলের সিল ২০ টি, বিভিন্ন কালারের তরল রং ২০ টি ও জাল নোট তৈরির ২ কাটুন সাদা কাগজ উদ্ধার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিং আরও উল্লেখ করা হয়, তারা ২০ কোটি টাকার জাল নোট তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। তারা তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। বিশেষ করে বাণিজ্য মেলা ও কোরবানির সময় গরুর হাটকে টার্গেট করে বিপুল পরিমাণ জাল নোট তৈরির লক্ষ্য নিধারণ করেছিল তারা।
র্যাব-৬’র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) সহকারি পুলিশ সুপার তারেক আমান বান্না জানান, উদ্ধারকৃত জাল নোট ও গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
Posted ৭:৫৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৩
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।