রফিক খান,মানিকগঞ্জ, | বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যদি বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা না দেওয়া হয় যদি কোন কিছু ঘটে তার দায় দায়িত্ব এই সরকারকে বহন করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে জেলা বিএনপি’র আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,এই সরকার প্রতারণা করছে এবং তাদের সঙ্গে এবং রাষ্টপতির সঙ্গে সংলাপ করে জনগণের সমস্যার কোন সমাধান হবে না। কাজেই তালবাহানা বাদ দিয়ে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি। তা না হলে কোন নির্বাচন হবে না কোন সংলাপও হবেনা।তিনি বলেন এই সরকার দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংশ করেছে,দেশের বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনাতকে ধ্বংশ করেছে,প্রশাসনের নিরপেক্ষতাকে তারা ধ্বংশ করেছে আমাদের অর্থনীতিকে একটা লুটপাটের অর্থনীতিতে চালু করেছে ।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ সরকার জনগন দেখে ভয় পায়। সরকারি বাহীনি দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে গুম করে দিয়েছে। তাদের আজও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। জনগন বিহীন এই সরকার গনতন্ত্রকে ধ্বংশ করে দিয়েছে। গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য খালেদা জিয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এখনো তিনি হাসপাতালের জীবন মৃত্যুর সন্ধিঃক্ষণে রয়েছেন। সারা দেশের মানুষের দাবি বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎস্রা জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর। কিন্তু এসব দাবি সরকারের কানে যায়না। যদি খালেদা জিয়ার কোন কিছু ঘটে তবে এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহŸায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএ কবীর জিন্নাহ, সিনিয়র যুগ্ন-সধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন প্রমূখ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন এই সরকার ১০ টাকা কেজি করে চাল দেওয়ার কথা বলে ক্ষতায় এসেছে। এখন দেশে চালের দাম ৭০ টাকা । ঘরে ঘরে চাকুরির কথা বলে ক্ষমতায় এসে এখন চাকুরির জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা গুনতে হচ্ছে চাকুরি প্রার্থীদের ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আরো বলেন, বাংলার জনগণকে বোকা ভাববে না, ২০১৮ সালে নির্বাচনে আগের রাতে ভোট দখল করে নিয়ে গেছে। পরে দিন জনগন ভোট দিতে পারেনি। ১৫৪ জন বিনাপ্রতিদ্ব›দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তখন ও একটি সংলাপ করেছিলো। এখন আবার সংলাপের জন্য ডাকাডাকি করছে রাষ্ট্রপ্রতি। এই সংলাপ অর্থহীন। গণতন্ত্রের সমস্যার সমাধান হবে না। জনগনের ভোটের অধিকার ফিরে আসবে না। নির্বাচন কমিশনের সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে সরকারের। নির্বাচন কালিন সময়ে সরকারটা কে থাকবে। সেটা কি নিরপেক্ষ সরকার থাকবে, না হাসিনার সরকার থাকবে। যদি হাসিনার সরকার থাকে তাহলে ভোটও নিরপেক্ষ হবে না।
দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রধান মন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার ও মুক্তির দাবি জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম । দেশের আইন আছে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর। তাকে বিদেশে পাঠানো অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু সরকার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না। সরকার তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দিচ্ছেন।
Posted ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।