
আল মাসুদ লিটন | শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪ | প্রিন্ট
জামালপুর সদর উপজেলা কেন্দুয়া ইউনিয়নের সোনাকাথাতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ১ গৃহবধুর শ্লীলতাহানি, স্বর্ণালংকার লুটসহ হামলার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী মো. নুরুল ইসলাম। সে ওই এলাকার মৃত জামাল মাহমুদের ছেলে। উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে জামালপুর সদর থানায় দায়েরকৃত মামলা নং-৫৩/৪২০, তারিখ-২৩/০৬/২০২৪ইং। আসামীরা হলেন, একই এলাকার মো. সুরুজ্জামালের ছেলে মো. আঃ হাকিম (৩৫), মো. শামছুল হকের ছেলে মো. আশরাফ আলী (৪০), মো. আশরাফ আলীর ছেলে মো. হৃদয় (২০) ও মৃত জাল মাহমুদের ছেলে মো. শামছুল হক (৬৪) সহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, মামলার বাদী ও আসামীদের বাড়ী একই গ্রামে। আসামীদের সাথে বাদীর দীর্ঘ দিন যাবৎ পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদিসহ বসত বাড়ীর জমি নিয়া শত্রুতা ও মনোমালিন্য চলে আসছে। যে কারণে বিভিন্ন সময়েই বাদীদের ক্ষতি সাধনের পায়তারা করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২২ জুন শনিবার দুপুরে বাদীর বসত বাড়ীর উঠানে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অনধিকারভাবে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। সে সময় বাদী ছেলে মোঃ সাইদুর রহমান (৩৫) তাদের গালাগালি করতে নিষেধ করেন। এক পর্যায়ে ৪নং আসামী মো. শামছুল হকের হুকুমে আসামীগণ সাইদুরকে এলোপাথারীভাবে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে ১নং আসামী মো. আঃ হাকিমের হাতে থাকা রাম দা দিয়ে সাইদুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে কোপ মারলে তার মাথার বাম পাশে রক্তাক্ত জখম হয়। তখন ২নং আসামী মো. আশরাফ আলীর হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে সাইদুরের মাথা লক্ষ্য করে বারি মারলে বারিটি বাম হাতে লাগে এবং হাড়ভাঙ্গা জখম হয়। উক্ত আঘাতের ফলে সাইদুর মাটিতে পড়ে গেলে ৪নং আসামী মো. শামছুল হক তাকে হত্যার হত্যার উদ্দেশ্যে দুই হাত দিয়ে শ্বাসরুদ্ধের চেষ্টা করে। তখন সাইদুর রহমানের স্ত্রী স্বামীকে বাচাতে এগিয়ে আসলে ১নং আসামী মো. আঃ হাকিম তার পড়নের কাপড় চোপড় টেনে ছিড়ে ফেলে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করেন এবং তার গলায় থাকা ৮ আনি ওজনের আনুমানিক ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা মুল্যের স্বর্ণের চেইন তখন ছিনিয়ে নেয় মামলার ৩নং আসামী মো. হৃদয়। এমন সময়ে মামলার বাদী মো. নুরুল ইসলাম এগিয়ে আসলে ২নং আসামী আশরাফ আলী ও ৩নং আসামী মো. হৃদয় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার পাইপ দিয়ে দুই পা, দুই হাতের দাপনায় এবং পিঠে ও কোমরে এলোপাথারীভাবে পিটিয়ে মারাত্মক বেদনা দায়ক জখম করে। ভুক্তভোগীদের ডাকচিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সকল আসামীগ দ্রত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। যাওয়ার সময়ে এই মর্মে হুমকি প্রদান করে যে, উক্ত বিষয়ে কোন প্রকার আইনের আশ্রয় নিলে পরবর্তীতে তোদেরকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবো। পরে ভুক্তভোগীরা দ্রæত অটো রিক্সাযোগে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহন করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জামালপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী মো. নুরুল ইসলাম। বর্তমানে আসামীরা মামলাটি তুলে নিতে নানাধরণের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেও বলে জানিয়েছেন মামলাটির বাদী।
এ প্রসঙ্গে জামালপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহাব্বত কবীর জানান, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের একটি টীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামীদের ধরতে এসআই রেজাউল করিমের নেতৃত্বে কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Posted ৭:৫৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।