শেরপুর সদর উপজেলার কুসুমহাটি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল ও লছমনপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহনাজ ফেরদৌস। ৩ জানুয়ারী সোমবার সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিনি। গত ২ জানুয়ারি-২০২২খ্রিঃ রবিবার ভোরে বিদ‍্যুতিক শট সার্কিট থেকে কুসুম হাটি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।উক্ত ঘটনায় প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।উক্ত ঘটনায় ১.মোঃ কালাম মিয়া ২.মোঃ সুজন মিয়া ৩.মোঃ জুলহাস ৪.মোঃ তোফাজ্জল ৫.মোঃ আঃ মান্নান ৬.মোঃ আঁখেন মিয়া ৭.মোঃ আকরাম হোসেন ৮.সুবল ৯.মোঃ করিম মিয়া ১০.আব্দুর রহিম ১১.মন্ডল মিয়া ১২.আবদুস সালাম এর ব‍্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট দীর্ঘ সময় চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও কোন কিছু বাঁচাতে পারেনি।তাৎক্ষণিক ঘটনায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খবিরুজ্জান খান,লছমনপুর ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল হাই,কামারেচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব,এস.আই সুমন মিয়া প্রমূখ। একই দিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি,শেরপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মোমিনুর রশীদ,অতিরিক্ত জেলা(সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ প্রমূখ।এসময় হুইপ এর পক্ষ হতে দুই বান্ডিল ঢেউটিন এবং জেলা প্রশাসনের আর্থিক সহায়তায় প্রতিটা ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিককে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়। আজ ৩ জানুয়ারি সোমবার উক্ত ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং লছমনপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বিভিন্ন বিষয়াদি পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহনাজ ফেরদৌস।এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার লছমনপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি অফিসার(নায়েব)সাদেক আলী সহ সকল সদস্যদের সঠিকভাবে ভূমি সেবা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন।