
নবকণ্ঠ ডেস্ক | রবিবার, ০১ জুন ২০২৫ | প্রিন্ট
কুষ্টিয়া সদর থানা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন সাধুর দিকনির্দেশনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে। বিএনপির আওতাধীন ৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সার্চ কমিটিতে এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সদর থানা বিএনপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সার্চ কমিটিতে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন মোঃ মনোয়ার হোসেন বাবু। প্রশ্ন উঠেছে—কে এই বাবু? ১৪ বছর ধরে তিনি কোথায় ছিলেন? তিনি হঠাৎ করে কিভাবে বিএনপির সার্চ কমিটিতে স্থান পেলেন?
অভিযোগ রয়েছে, মাত্র কয়েক দিন আগেই যুবলীগের মিছিলে অংশ নেওয়া বাবু, ৫ আগস্ট যুবলীগের পক্ষে মাঠে ছিলেন। পরে তিনি নিজেকে আহত যুবদলকর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে অনুদানও গ্রহণ করছেন। একইভাবে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাও আওয়ামী লীগ থেকে যুবদলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এই ঘটনায় তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মীরা বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।
খাজানগর ওয়ার্ডের বিএনপির সার্চ কমিটিতেও আওয়ামী লীগের নেতাদের পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে। নেতৃত্বে রয়েছেন জয়নাল আবেদিন সাধু। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফ্যাসিবাদী সরকারের সময়ে সাধু গোপনে সরকারের পক্ষে কাজ করতেন এবং চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্বে ছিলেন। এখন সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি বিএনপির ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিতে আওয়ামী লীগের নেতাদের পুনর্বাসন করছেন বলে অভিযোগ।
জনগণের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে—যিনি একসময় ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর ছিলেন, সেই ব্যক্তি আজ বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কীভাবে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের কাজ করছেন? তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি, যদি বিএনপির সার্চ কমিটি ও ওয়ার্ড কমিটিতে আওয়ামী লীগ থেকে আসা নেতাদের পুনর্বাসন করা হয়, তাহলে তৃণমূলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা কোথায় যাবে?
তাদের আহ্বান, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং তৃণমূল বিএনপির ত্যাগী কর্মীদের রক্ষা করতে হবে। অন্যথায় কুষ্টিয়ার বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে বিভাজন ও অস্থিরতা তৈরি হবে—এমন আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
Posted ১০:১৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০১ জুন ২০২৫
dainikbanglarnabokantha.com | Shanto Banik
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।