রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : | সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ | পড়া হয়েছে 43 বার
দুখিনী রিজিয়া খাতুন ও তার মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে পলিথিন, পাটখড়ি আর বাঁশ দিয়ে বানানো খুপড়ি ঘরে বসবাস করে। অস্থায়ী বিশ্রামাগারের মতো পলিথিনে মোড়ানো খুপড়ি ঘরটি মাঠের মধ্যে হওয়ায় নিরাপত্তা নেই বল্লেই চলে। সেখানে যাতায়াতের রাস্তা, টিউবওয়েল ও বাথরুম নেই। অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটে তাদের। কখনও কখনও না খেয়েও দিন পার করতে হয়। চরম দুঃখ-দুর্দশা আর দুর্ভোগের মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন এই মা-ছেলের। রোদে, শীতে আর বৃষ্টিতে ১২ মাসই তাদের কষ্ট। তাদের এমন বিপদে এগিয়ে আসেননি জনপ্রতিনিধিরাও। বৃদ্ধা মা ও প্রতিবন্ধী ছেলে পলিথিনের ঘরে থেকেও ভাগ্যে জোটেনি সরকারি ভাতা, মাথা গোঁজার মতো একটা ঘর কিংবা একটা কম্বল। তার স্বামী প্রায় ৩০ বছর আগে মারা গেছেন। একমাত্র ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী। অসহায় বৃদ্ধা ওই নারী কাজের বিনিময়ে প্রতি সপ্তাহে ২০০ টাকা ও দুই কেজি চাল পান। এদিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে চলে সংসার। মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তারা। রিজিয়া খাতুন (৬৫) কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সাদকী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের তারাপুর গ্রামের বাসিন্দা। কাঁদতে কাঁদতে রিজিয়া খাতুন বলেন, সরকার দেশের গরীব মানুষকে ভাতা দেয়, ঘর দেয়, খাদ্য দেয়, কম্বল দেয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমার কপালে কিছুই জোটেনি। মেম্বার-চেয়ারম্যানরাও সাহায্য করে না। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, তাও কেউ সহযোগিতা করেনি আগের ভাঙাচোরা একটা ঘরে থাকতাম। সেই ঘরটা নষ্ট হয়ে গেছে অনেক আগে। আমার মাথা গোজার ঠায় নেই। কাজের বিনিময়ে প্রতি সপ্তাহে ২০০ টাকা ও দুই কেজি চাউল পায়। সেটা দিয়ে কষ্টে সংসার চলে। পাগল ছেলেটাকে নিয়ে আমি খুবই কষ্টের জীবন কাটায়। আমার দুঃখ বোঝার মতো কেউ নেই। সরকার যদি আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করে তাহলে আমি খুবই খুশী হবো। এবিষয়ে সদকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদীন দ্বীপ বলেন, রিজিয়া খাতুনকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী তাকে সুবিধার আওতাভুক্ত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ৯:২৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel