
নিজস্ব প্রতিবেদক: | রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট
টয়লেট পরিষ্কার করার হারপিক খাইয়ে হত্যার পরিকল্পনা ও বিবাহিত স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পরিবারের লোকজন তার স্বামী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মচারী জহিরুল ইসলাম মিরাজ এর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মনোহরদী উপজেলার শকুন্দী ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে জহিরুল ইসলাম মিরাজের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোবাইল ফোনের কলে ভুল নম্বরে রেহেনা আক্তার মীরার সাথে একদিন জহিরুল ইসলামের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে মিরাজ প্রায়শই মিরাকে ফোন করতেন। মিরা বিবাহিত এক সন্তানের জননী বিষয়টি ফোনে মিরাজকে জানানো হয়। দীর্ঘদিন ফোনে দুজনের কথোপকথনে ভালোবেসে ফেলেন। এক পর্যায়ে মিরাজ কৌশলে মিরাকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। পরে মিরাকে ৮ লক্ষ টাকা দেনমোহরে ১৬ অক্টোবর ২৪ খ্রিস্টাব্দ নোটারি পাবলিক উকিলের মাধ্যমে ও পরে স্থানীয় নিকাহ রেজিস্টার দ্বারা বিবাহ করেন। বিবাহের পর স্বামী মিরাজ স্ত্রী মিরাকে প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে মোটরসাইকেল সহ নগদ ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক হিসেবে হাতিয়ে নেয়।মিরাকে স্বামীর বাড়ি কোনাপাড়া নিজ গৃহে নিয়ে যাবে বলে দীর্ঘায়িত হলে একদিন স্ত্রী মীরা নিজেই স্বামীর বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে স্বামী মিরাজ রাগান্বিত হয়ে পরিবারের লোকজনকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে ফোন কলে নির্দেশ দেন। মিরাজের নির্দেশ পেয়ে নির্যাতন সহ হারপিক খাইয়ে স্ত্রী মিরাকে হত্যার চেষ্টা করে। পরে স্ত্রী মীরার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্থানীয় মনোহরদী সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। স্বামী জহিরুল ইসলাম মিরাজ ঢাকা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণভুক্ত পরিচিতি নং-৪৯০৮৩৯ কিশোরগঞ্জে কর্মরত আছেন। স্ত্রী মীরা এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।এবং কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্বামী জহিরুল ইসলাম মিরাজ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন মীরা আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। এ বিষয়ে আমরা মীমাংসা করার চেষ্টা করতেছি।
Posted ৪:০৭ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
dainikbanglarnabokantha.com | Shanto Banik
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।